সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুবতীকে বখাটেরা জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা,বাড়ি ঘর-ভাঙচুর

রুমন সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জ ভাদেশ^র ইউনিয়নের উজান মেহেরপুর গ্রামে হত দরিদ্র পরিবারের এক যুবতীকে রাস্তা ঘাটে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকারিয়া সহ তার বাহিনী বখাটেরা উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসী জাকারিয়া সহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বখাটের ওই উত্ত্যক্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার যুবতীর বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসী জাকারিয়া ও তার বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে, ৬ মার্চ ২০২৫ইং (বৃহস্পতিবার) বেলা ২.৩০ ঘটিকার সময় উজান মেহেরপুর গ্রামে।
সূত্রে জানা যায়, তাজ উদ্দিনের সুন্দরী যুবতী মেয়েকে এই গ্রামের বখাটে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকারিয়া সহ তার সযোগীরা প্রায়ই রাস্তা ঘাটে পেলে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতো, বার-বার জাকারিয়া তাজ উদ্দিনের মেয়েকে রাস্তা ঘাটে পেলে প্রেম করার আবদার ও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে এতে মেয়ে তা প্রত্যাখান করে। জাকারিয়া ওই মেয়েকে রাস্তা ঘাটে একা  পেলে বিভিন্ন অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে থাকে। জাকারিয়ার মাত্রারিক্ত বিরক্তির ফলে তাজ উদ্দিন ও স্ত্রী রাছনা বেগর জাকারিয়ার পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্যদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে জাকারিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হত দারিদ্র তাজ উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক তার মেয়েকে  তুলে নিতে চায় এবং এ সময় তাজ উদ্দিনের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলায় সন্ত্রাসীরা। তাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী মেয়ের ইজ্জ্বত রক্ষার্তে এগিয়ে আসলে জাকারিয়া সহ তার বাহিনী লোহার পাইপ দিয়া তাজ উদ্দিনের মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ছেছা ফুলা জখম করে। এবং দিন দুপুরে পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানি করে। ওই সময় মেয়ের বাবা তাজ উদ্দিন ও মা রাছনা বেগম সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে আসলে লোহার পাইব, বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট করে দেশীয় অস্ত্র রড ও দা দিয়ে তাজ উদ্দিনকে হত্যার প্রচেষ্ঠা চলায়।
এ সময় জাকারিয়ার সহযোগীরা তাজ উদ্দিনের মেয়ের গলা থেকে আধা তোলা ওজনের স্বর্নের চেইন, দুই কানের দুল লতি থেকে টানা হেছড়া করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। আহতদের কে স্থানীয়রা আশংকাজনক ভাবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। খোজ নিয়ে জানা গেছে, আহতরা এখনও উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে তাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাছনা বেগম বাদীয় হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে (৩২৩/৩২৬/৩২৫/ ৩২৮/৩০৭/ ৩৮০/৫০৬ (২) ধারায় একটি মামলা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *