শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংর্ঘষে অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দূর্ঘটনাস্থলে ৩ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।
মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার ১৩ মার্চ সকাল সারে ৮ টারদিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
দূর্ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর ও পৌর এলাকার দামগাড়া গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে ও অটোরিকশা চালক হেফজুল ইসলাম (৪৪), ওমরপুর গ্রামের তানসেন আলীর শিশু সন্তান ছেলে আব্দুল আলিম (৩) এবং নামুইট গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন এর ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম (২২)। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটধুমা গ্ৰামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোমিন নামে এক জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি সোমবার সকালে নন্দীগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া শহরে যাচ্ছিল। পথে কুন্দারহাট বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে নাটোর গামী একটি পিক আপের সাথে অটো রিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষ ঘটে এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি দূর্ঘটনাস্থলে দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দূর্ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশা চালক ও শিশুসহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় পিক আপের চালক, হেলপার সহ ৬ জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানিয় কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার এস আই হাসনাত আলী জানান, সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় অটোরিকশা চালক ও শিশু সহ ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার সহ গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া দূর্ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশাটি এবং পিকআপ টি উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।