“বঙ্গবন্ধু“ জীবনের কিছু সময় উল্লেখ্য

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ১৭ মার্চ, ১৯২০: গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৭: সাত বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতির জনকের প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রজীবনের সূচনা হয়।

১৯৩৯: সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভা করার কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবরণ করেন।

১৯৪৪: নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন।

২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮ : তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু তার তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন।

২ মার্চ, ১৯৪৮ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়।

১১ মার্চ, ১৯৪৮ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট আহবানকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

২৩ জুন, ১৯৪৯ : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় এবং জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন।

২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ : রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত সহ আরো অনেকে। জেল থেকে বঙ্গবন্ধু এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন এবং একটানা ৩ দিন তা অব্যাহত রাখেন।

১০ মার্চ, ১৯৫৪ : সাধারণ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়। বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের আসনে বিজয়ী হন।

১৭ জুন, ১৯৫৫ : ঢাকার পল্টনের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন দাবী করেন।

৭ মার্চ, ১৯৬৬ : বঙ্গবন্ধু কতৃক ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮ : পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।

২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ : তীব্র গণআন্দোলনের মুখে সরকার “রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য” শিরোনামে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।

২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯ : ছাত্রলীগ আয়োজিত রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবকে দেয়া বিশাল সংবর্ধনা সভায় তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১২ নভেম্বর, ১৯৭০ : পূর্ব বাংলায় ভয়াবহ ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করে ত্রাণ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ : জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় ৮৮টি আসন।

৭ মার্চ, ১৯৭১ : বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাংলাদেশের স্বপ্ন চূড়ান্ত করা সেই ভাষণে বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধুর এই ভাষনে ষ্পষ্ট হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

২৫ মার্চ, ১৯৭১ : পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম গণহত্যা ও নৃশংসতম কালো রাত। সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া খানের ঢাকা ত্যাগের খবরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। রাত সাড়ে এগারটায় শুরু হয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চ লাইট।

২৬ মার্চ, ১৯৭১ : পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হবার আগে ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাবার্তা ওয়ারলেস যোগে চট্টগ্রামের জহুরুল আহমেদ চৌধুরীকে প্রেরণ করেন।

১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ : বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে তৎকালীন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ : বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন ইয়াহিয়া খানের দেয়া সমঝোতা প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেন।

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ : ত্রিশ লাখ শহীদ এবং তিন লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আসে আমাদের চূড়ান্ত বিজয়। কিন্তু বাঙ্গালীর মুক্তির স্বাদ অপূর্ণ রয়ে যায় স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নির্জন কারাভোগের কারণে।

৮ জানুয়ারী, ১৯৭২ : বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি লাভ। ঐদিন বঙ্গবন্ধু লন্ডনে তার হোটেলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, “আমি আমার জনগনের কাছে ফিরে যেতে চাই।”

১০ জানুয়ারী, ১৯৭২ : বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ঐ রাতেই তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১২ জানুয়ারী, ১৯৭২ : দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিবর্তে সংসদীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করে বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন।

৭ মার্চ, ১৯৭২ : বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০০টির মধ্যে ২৯২টি আসনে বিজয়ী হয়।

২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালী নেতা হিসেবে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা দেন।

১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ : স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.