সরকারী কর্মকতারা উদাসিন বেনাপোল চেকপোষ্টে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের ভ্রমণ কর  ফাঁকি দেওয়া চক্র সক্রিয়

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল চেকপোষ্টে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সরকারী ভ্রমন কর ফাঁকি দেওয়ার একটি শক্তিশালী চক্র। এরা ভারতগামি যাত্রীদের ব্যাংক থেকে ভ্রমণ কর রশীদ আনার নাম করে জালিয়াতি করে কখনো অনলাইন কখনো ব্যাংক রশিদ দিয়ে সরকারী রাজস্ব নিজেরা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার প্রতিবছর বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এই চক্রের সদস্যদের কয়েকবার হাতে নাতে ধরে বেনাপোল কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, ও বন্দর কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করলেও তারা কোন এক অদৃশ্য কারনে ব্যবস্থা না নিয়ে ভ্রমন কার ফাকির সাথে জড়িত এবং যাদের কাছে ওই ট্যাক্স পাওয়া গেছে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।

গত ২৪ মার্চ ভারতীয় ৫ নাগরিককে সরকারী  ভ্রমণ কর ও স্থল বন্দরের প্রবেশ রশিদ জাল সনাক্ত করা সত্বেও এবং ওই যাত্রীদের শিকারোক্তি অনুযায়ী  জালিয়াত চক্রের সদস্যর নাম বলা সত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ব্যাংক, কাস্টমস ইমিগ্রেশন ও বন্দর কর্মকর্তারা দায় এড়াতে মামলার ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই।

ঢাকার পাসপোর্টে যাত্রী মিরাজুল ইসলাম জানায় জালক্রদের বিষয়ে কেন এসব সরকারী কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিতে উদাসিন? এর কারন কি? তাহলে কি এরা এসব চক্রের সাথে জড়িত?

ভারতীয় যাত্রীরা ঃ অলোক মল্লিক (৪৬) বিশ্বজিৎ দেবনাথ (৪৬) প্রনয় মন্ডল (৩৮) শিল্পী বিশ্বাস (৩২) রাজু বিশ্বাস (৩৪)। ওই চক্রের সদস্য ভারতীয় নাগরিক বিশ্বজিৎ ও তার বাংলাদেশী সদস্যর নাম বলা  সত্বেও বেনাপোল চেকপোষ্টে দায়িত্বরত কোন সকরারী সংস্থার কর্মকর্তারা দায় ভার না নিয়ে তাদের জামাই আদরে ছেড়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সুত্র দাবি করে বলেছে এসব কর্মকর্তারা ওই জাল চক্রের সদস্যদের সাথে জড়িত।

এ বিষয় বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মাদ হাকিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয় আইনি অনেক জটিলতা আাছে। এখানে কাস্টমস কতটুকু পদক্ষেপ নিতে পারবে তা স্পষ্ট আইনে লেখা আছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ইনকাম ট্যাক্সের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি। এর প্রতিকার কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি  নিয়ে সবার
সচেতন হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.