মাগুরা মহম্মদপুরে জেলা পরিষদের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল

খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন  মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মহম্মদপুর রোডে, কাল আতিয়ারের স,মিলের সামনে ও ডাচ বাংলা ও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক এর সামনে মাগুরা জেলা পরিষদের জায়গায় (জেপি) মাগুরা জেলা পরিষদের পিচ রাস্তা থেকে ৩০ ফুট সরকারি জমিতে দোকান-ব্লিডিং স্থাপন করা হচ্ছে।

সরকারি জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দোকান স্থাপন করছে বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামের কাজী আতিয়ার রহমানের ছেলে কাজী মাহবুবর রহমান (মেহেবুল)। গত বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ বিকাল ৪ টার সরেজমিনে দেখা যায় মহম্মদপুর-মাগুরা প্রধান যাতায়াত সড়কের পিচ রাস্তার কাছাকাছি সংলগ্ন দোকান এর ইট, সিমেন্ট ও বালি দিয়ে কাজ করছে দোকানের জন্য রাজমিস্ত্রীরা। এসময় দোকান ব্লিডিং এর মালিক কাজী মাহবুবুর রহমান (মেহেবুল) উত্তেজিত হয়ে রাগান্বিত অবস্থায় সাংবাদিক রনি, সাংবাদিক ফারুক আহমেদ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী হোসেন আলীর উপর চড়াও হয়ে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার জন্য হাতাহাতি করে, ভিডিও ও ছবি তোলার কাজে বাধা ও অকথ্য ভাষার আচার-আচরণ করে।
তিনি উচ্চ স্বরে চিৎকার করে বলেন আমার জায়গায় আমি দোকান ঘর তৈরি করবো তাতে সাংবাদিকদের কি। কিন্তু তাকে জেলা পরিষদের ৩০ ফুট জায়গার জমিতে দোকান ঘর তৈরি করা প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আমি ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান পাস করে নিয়ম অনুযায়ী ব্লিডিং ও দোকান তৈরি করতেছি।
সাংবাদিকদের দায়িত্বরত কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ও মোবাইল ক্যামেরা ভিডিও কাজে হাতাহাতি করার জন্য, মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ অসীত কুমার কে ঘটনা জানালে তিনি তৎক্ষনাৎ ২ জন পুলিশ সদস্য পাঠান এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর পরিচয় দিয়ে বাওজাঙ্গী গ্রামের ওবায়দুর উত্তেজিত হয়ে বলে মেহেবুল আমার আত্মীয় এবং এখানে আমিও এই জায়গার পাটনার।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রী রামানন্দ পাল জানান এটা জেলা পরিষদের সম্পত্তি, আপনারা সাংবাদিকগণ বিষয়টি মহম্মদপুর থানার ওসি ও মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানান। এবিষয়ে মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন জেলা পরিষদের সরকারি জমিতে কোন ব্লিডিং, দোকান-ঘর সহ যে কোন স্থাপনা নতুন করে তৈরি করার কোন সুযোগ নাই। আর জোর করে মাগুরা জেলা পরিষদের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা তৈরি করলে জেলা পরিষদ অপরাধীদের আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাগুরা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আজমুল হক ও বার্তা বাহক হাসান স্পট কাজে গিয়ে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে মাগুরা জেলা পরিষদের সরকারি জমিতে দোকান-ঘরের জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজ বন্ধ করতে বলে, লিংটন ঢালাই ও গাথনী দ্রুত ভাঙ্গতে আদেশ দেয় কিন্তু মেহেবুল তাদের কথায় কর্ণপাত না করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে এবং বলে শুক্রবার আমি দোকান-ঘর ভেঙ্গে দিবো কিন্তু গত শুক্রবার ৩১ মার্চ সেই দোকান-ঘরে ঢালাই এর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে এবিষয়ে মাগুরা জেলা পরিষদের বার্তা বাহক হাসান মহম্মদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মেম্বার আব্দুল মান্নান কে ফোন দেয় এবং মান্নান বলে কাজী মেহেবুল একটা চরম অসভ্য ও বকাটে প্রকৃতির লোক আমি ওখানে যেতে পারবো না।
আজকে রবিবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু সাথে আবারও কথা হলে তিনি জানান আমি নিজেই সরেজমিনে বিষয়টি দেখতে যাবো এবং তিনি সার্ভেয়ার আজমুল কে বলেন মেহেবুলের নামে মামলা করে দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.