এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ): নওগাঁর বদলগাছী ছোট যমুনা নদী বালু মহাল সায়রাত মহাল ভ‚ক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ায় আগামী সনে বালু মহাল লিজ দেওয়া হচ্ছে না বলে ইউএনও অফিস সুত্রে জানা গেছে। আর মাত্র কয়েক দিন পর পহেলা বৈশাখ। শুরু হচ্ছে নতুন বছর বাংলা ১৪৩০ সাল।
পবিত্র মাহে রমজান সত্তে¡ ও নাা বর্ণে আয়োজনে পালিত হতে যাচ্ছে দিনটি। নতুন বছরে নতুন দিন পহেলা বৈশাখই যেন ছোট যমুনা নদীর দুপারের অসহায় মানুষের আহাজারী কান্নার শেষ দিন। খোজ নিয়ে জানা যায়, ছোট যমুনার কোথাও বালু দেখা যায় না। দীর্ঘ দিন আগে এ নদীর বালু ফুড়িয়ে গেছে। নদীর বুক থেকে শুরু করে দুপাশে শুধু ফসলি জমি। নদী পারের নিপিরীত মানুষেরা জানায় প্রতি বছর বালু মহাল ইজারাদার নীতিমালা মেনে মাটি বালু কাটে না। সবাই যেন শুধু ফসলি জমি কাটে।
বর্তমান ইউএনও আলপনা ইয়াসমিন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ১৪২৯ বাংলা সনে তাজপুর, খাগড়া ও ডাঙ্গিসারা মৌজা বালু পয়েন্ট থেকে বাদ দেন। বালু না থাকায় নদীর লিজ বন্ধে ইউএনও প্রস্তাব দিলে সায়রাত মহাল থেকে ছোট যমুনা নদীর বালু মহাল বাদ পরে। আগামী সনে নদীর বালু মহাল লিজ হচ্ছে না খবর পেয়ে আনন্দিত নদী পারের মানুষ। এ বিষয়ে বদলগাছী কারিগরি করেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে যেমন পানি দরকার। তেমনি তার শরীরের গঠন ও ভারসাম্য ঠিক রাখতে বালু দরকার। পানি ও বালু সব কেরে নিলে সে নদী টেকে না। যেহেতু নদীতে বালু নেই। ইউএনও আলপনা ইয়াসমিন ও ডিসি মহোদয় ছোট যমুনা নদীর লিজ বন্ধ করেছেন। তাদের এই সিদ্ধান্তে নদীর দুপারের মানুষ উপকৃত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন বালু মহাল নিয়ে গ্রামবাসী, কিছু পরিবেশবাদী, সংবাদ মাধ্যমের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক দেখা যায় নদীতে তেমন বালুর উপস্থিতি নেই। ইজারাদাররা মাটি কেটে ফসলি জমির ক্ষতি করছে। ইজারাযোগ্য পর্যাপ্ত বালু না থাকায় ইজারা বন্ধে প্রস্তাব করা হয়। পহেলা বৈশাখ থেকে নদীতে আর কেউ মাটি বালু কাটতে পারবে না।