ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সিরাজুল ইসলাম আপন, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মো. আব্দুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও তার পরিবার। মঙ্গলবার (১১এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামে তার নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সমম্মেলন করেন আব্দুল ওয়াহেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো.আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আমার নামে আর্থ আত্মসাতের একটি সংবাদ প্রকাশ হয় যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মুলত গ্রামের কিছু কুচক্র মহলের সহযোগিতায় মো. মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই অসত্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে দাবী করেন।

তিনি বলেন প্রকৃত ঘটনা হলো, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামের মো. হযরত আলী মোল্লার ছেলে মো. মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লার পোল্ট্রি খামারে একবস্তা মুরগির খাদ্য চুরি হয়। এমন একটি ভিডিও সিসি ক্যামেরা থেকে ডাউনলোড করে তাকে সহ তার গ্রাম প্রধানদের দেখিয়ে ঘটনার বিচার দাবী করেন। মিজানুর রহমানের চুরি যাওয়া পোল্ট্রি খাদ্য চুরি যাওয়ার বিষয়ে ইউনিয়র বিএনপি এর সদস্য ও গ্রাম প্রধান আলহাজ্ব মো. আব্দুর রাজ্জাকের নিকট বিচার চান। কিন্তু আব্দুল ওয়াহেদ তাকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি আরো বলেন, গত ২৩ মার্চ সকালে ঝববঝবিয়া ঈদগাহ্ মাঠে গ্রামের গ্রাম প্রধানদের অনুরোধে তিনি হাজির হন। ওই দিনকার গ্রাম্য সালিশে গ্রাম প্রধান আলহাজ্ব মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. আজিজুল হকসহ অন্যান্য গ্রাম প্রধান গণ উক্ত সালিশের সভাপতি মো. ইয়াছিন আলী সরকারের মাধ্যমে মিজানুর রহমানকে ক্ষতিপুরুণ বাবদ বিবাদী নুরুজ্জামানকে তিন লাখ দশ হাজার টাকা ও অপর বিবাদীকে একলাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকা প্রদানের নির্দেশ দেন। তবে সালিশে উপস্থিত নুরুজ্জামান এক লক্ষ টাকা ও জাকির হোসেন চল্লিশ হাজার টাকা বোর্ডের সভাপতি ইয়াছিন আলী সরকারের কাছ জমা দেন। পরে তিনি গ্রামের মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আব্দুল বারীর রিকট ক্ষতিপুরুণের টাকা জমা রাখেন।

এই সালিশে আব্দুল ওয়াহেদ রায় ঘোষনাও করেন নি আবার ক্ষতিপুরুণের টাকা জমা রাখা তো দুরের কথা হাত দিয়ে ছুয়েও দেখেন নি। পরে ওই টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার , ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পরামর্শ অনুযায়ী ইউএনও মহোদয়ের নিজ কার্য্যালয়ে ঝবঝবিয়া গ্রামের গ্রধান বর্গ ও ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুলের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর নিয়ে মো. মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লাকে সব টাকা বুঝিয়ে দেন। অথচ তার পরেও মো. মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লা মিথ্য তথ্য দিয়ে তার বিরুদ্ধে নিউজ করিয়ে তার পরিবার , গ্রাম ও দলের নেতাকর্মীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।

তিনি আরো অভিযাগ করে বলেন, মো. মিজানুর রহমান একজন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। তাই রাজনৈতিক ভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশ করেন।

এ ব্যপারে মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লা বলেন, সালিশে জরিমানার দুই লাখ নব্বই হাজার টাকা তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যলয়ে হতে বুঝে পেয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সকল পক্ষকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গ্রাম্য বিচারের রায়ের দুই লক্ষ নব্বই হাজার টাকার মিজানুর রহমান ওরোফে রিপন মোল্লাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.