যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পেটে লাথি মেরে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাচ্চা প্রসব বাউফলে!

সানাউল হক (বাউফল-পটুয়াখালী): পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার  মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামী সুজন মোল্লা।প্রতিনিয়ত যৌতুক সহ বিভিন্ন কারনে-অকারনে স্ত্রী সাবিনাকে বেপরোয়া ভাবে মারধর করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজন মোল্লার বিরুদ্ধে। গতকাল (৫ মে) শুক্রবার বেলা সারে বারোটার দিকে উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বালিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতেই সাবিনাকে যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন এবং একপর্যায়ে স্বামী বেপরোয়া ভাবে স্ত্রী সাবিনাকে (পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা) অবস্থায় মাজা ও পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।

ওই সময় সাবিনা ইয়াসমিন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ব্যঁথা সহিতে না পেরে সাবিনা বাবার বাড়িতে বাউফল সদর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া চলে যায়।সাবিনার মা আকলিমা বেগম মেয়ের অবস্থা খারাব দেখে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসার পথিমধ্যে অটো রিক্সা থেকে নামিয়ে গ্রিন লাইভ ক্লিনিক এর সামনে পৌঁছা মাত্র রাস্তার উপরে গর্ভপাত ঘটে।পরে দ্রুত বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

অপরদিকে, সাবিনার স্বামী সুজন মোল্লা স্ত্রীর অবস্থা খারাপ দেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।সুজন মোল্লা উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বালিয়া গ্রামের মোঃ মুজফফর মোল্লার ছেলে

সাবিনার মা আকলিমা বেগম বলেন,আমার মেয়েকে ওখানে বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিনা কারনে-অকারনে মারধর সহ শারীরিক নির্যাতন করতো।যৌতুকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো সুজন।’আমি গরিব, কষ্ট করে এর আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি মেয়ের শান্তির জন্য।তারপরও আবার যৌতুকের টাকার দাবি করে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে।আমার মেয়ে সাবিনা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।সেই অবস্থায় মারধর করে।এখন আমার মেয়ে হসপিটালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।’আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচান স্যার’,।

এ বিষয় বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এটিএম আরিচুল হক বলেন, এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.