ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলামের দোকান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. বাবুল মিয়া (৫০) নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চাঁদা দাবি করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত (০৪ মে) ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর (টান মালমারী) এলাকার মো. আবু কায়সারের ৩ ছেলে মো. আরমান (৩০) , মো.ইমন মিয়া (২৬) ও মো. আরাফাত হোসেন। একই এলাকার বাবুল মিয়ার ২ ছেলে মো. সৈকত (২৫) ও সৌরভ (২১)। মো. আব্দুল জব্বারের ২ ছেলে মো. হাদিউল বাশার সুমন (৪৩) ও মো. বাবুল মিয়া (৫০)।
এ বিষয়ে একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত আসামিরা আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি জানায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার বাড়িতে এবং আমার ভাড়াটিয়ার দোকানে হামলা চালায়। এসময় দোকানে থাকা নগদ দুই লাখ টাকাসহ, দোকানের মালামাল ও আরেক ভাড়াটিয়া নারীর গলা থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আমার একটি মোটরসাইকেলসহ দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে আসামিরা’।
বিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তারকরে শাস্তির দাবি জানান ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’।