মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ২৩\৫\২৩ জয়পুরহাটে তেঘর বিশার জুংলিপাড়া-আজাদপাড়া খালের (ক্যানেল) উপর বাঁশের তৈরী সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ। এতে বাঁশ ভেঙে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ দুপারের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের তেঘরবিশা জুংলীপাড়া-আজাদপাড়া গ্রামের কয়েকহাজার মানুষ চলাচল করে এই বাঁশের সেতু দিয়ে। যুগের পর যুগ এখানে সেতু না থাকায় গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মাণ করলেও বর্তমান বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। এই সেতু দিয়ে কোন গাড়ি যাতায়াত করতে পারেনা, তাই হেটে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে মধ্যেই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি বড় দুর্ভোগ পোহাতে হয় কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময়। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। বর্ষা এলে যা হয়ে যায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ। অবিলম্বে এখানে সেতু নির্মানের দাবি গ্রামবাসীদের।
জুংলীপাড়ার শারমিন আক্তার বলেন, এই বাঁশের সেতুর কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। যাতায়াত করতে পড়ে গিয়ে কারও হাত ভাঙে, কারও পা ভাঙে। সরকার থেকে এখানে একটি সেতু করে দিলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়।
আজাদপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান নামে একজন বলেন, দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই বাঁশের সেতু দিয়ে চলাচল করে। এখানে নতুন করে সেতু হওয়ার কথা আমরা দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইঞ্জিনিয়ার এসে বারবার মাপ দিয়ে যায়, কিন্তু কাজ হয়না। আমাদের গ্রাম থেকে সরাসরি ভ্যান রিক্সাসহ কোন যানবাহন চলাচল করেনা। এতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বাঁশ নিয়ে নিজেরাই এ বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছি। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই বাঁশগুলো ভেঙে যায়। এই বাঁশের সেতু দিয়ে কোন পরিবহন যাতায়াত করতে পারেনা। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাঁধে করে রোগীকে ওই পারে নিয়ে যাওয়ার পর গাড়িতে তুলতে হয়। কোন মালামাল পরিবহন করা যায়না। এজন্য আমাদের অনেক দুর্ভোগ। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এখানে যেন দ্রত একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় মোহাম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান জানান, জনদুর্ভোগের কথা ভেবে এখানে দ্রত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সেতুটি নির্মাণে ইতিমধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু হবে সেতুটির।