সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের সব চেয়ে বড় হাট শরৎনগর হাট। হাটটি উপজেলার সব চেয়ে বড় ও স্থানীয়দের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাট। প্রতিবছর সরকার এই হাট থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করলেও হাটে স্পর্শ করেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। প্রায় দুই বছর আগে ভেঙ্গে যাওয়া হাটের শেড মেরামত না হওয়ায় বোঝা যায় হাটটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
জানা যায়, উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় এই শরৎনগর হাটটি সপ্তাহের দুই দিন (শনিবার ও বুধবার) বসে। উপজেলার প্রায় সব গ্রাম থেকেই বেচা-কেনা করতে হাটে আসে হাজারও মানুষ। এই হাটটি আশে-পাশের উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় হাট হওয়ায় হাটটিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসে ব্যবসা করতে। কিন্তু হাটের ভেঙ্গে যাওয়া শেডের দিকে তাকালেই এই হাটটি কতটা মূল্যহীন কর্তৃপক্ষের কাছে তা বোঝা যায়।
শরৎনগর হাটে আসা একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা জানান, ভাঙ্গুড়া বাসীদের কাছে হাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার অন্যান্য হাটের চেয়ে এই হাটটি অনেক বড় হওয়ার কারণে এলাকাবাসীরা সপ্তাহের দুই দিন এই হাট থেকে প্রয়োজনীয় বাজার করে থাকেন। বছর দুয়েক আগে ঝড়ে হাটের শেডটি ভেঙে যায়। ফলে হাটুরিদের নিরাপদ স্থানে দোকান বসানোর জায়গা না থাকায় হাটুরিরা রাস্তায় এসে দোকান বসায়। যার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ক্রেতাসহ বিক্রেতাদের।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, জানি না কবে হাটের শেডটি মেরামত হবে আর নিরাপদ স্থানে বসে বিক্রেতা ও ক্রেতারা তাদের পণ্য লেনদেন করতে পারবেন। সেই সাথে তারা শেডটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের কাছে জোর দ্বাবী জানায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌরসভার বড় ধরনের আয় না থাকায় আমার একার পক্ষে এই শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করাও সম্ভব নয়। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ হাটের শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার জন্য অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দের কোন বিকল্প নেই। আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলবো যাতে দ্রুত নষ্ট শেডটি মেরামত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। সরজমিনে গিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে সাথে কথা বলে দ্রুতই শেডটি মেরামত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।