সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে ২৩ শ্রমিককে যোগদানে বাধা

মাগুরা প্রতিনিধি খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন: মাগুরা টেক্সটাইল মিলের অবৈধভাবে চাকুরিচ্যুত ২৩ শ্রমিকের করা রিটের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে ওই শ্রমিকদের যোগদান করতে দেয়নি মিল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দাবী করছেন বিক্ষুব্ধ ওই শ্রমিকরা।
এর প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যোগদানের ব্যবস্থা করার দাবিতে (৩০ মে) মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরা টেক্সটাইল মিলের সামনে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ ওই শ্রমিকরা। তাদের দাবি ১৯৯৯ সালে তাদেরকে জোর পূর্বক চাকরীচ্যুত করে মিল কর্তৃপক্ষ। ওই চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে ২৩জন সাবেক শ্রমিক কর্মচারী মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৩বছর ওই রিটের শুনানির পর ২০১৭সালে বিক্ষুব্ধ ২৩ শ্রমিককে চাকুরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন মহামান্য হাইকোর্ট।
ওই সময় বিটিএমসি হাইকোর্টের সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে মহামান্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেনের বেঞ্চ গত ১৪ মে তারিখের এক নির্দেশে হাইকোর্টের আদেশ বলবৎ রেখে ওই ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পুনরায় নিয়োগের আদেশ দেন। কিন্তু মাগুরা টেক্সটাইল মিলের মিল ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম তাদের যোগদানের আদেশ অমান্য করে যাচ্ছেন।
অন্যতম রিট আবেদনকারী ও মাগুরা টেক্সটাইল মিল সিবিএর সাবেক সভাপতি মোঃ ফারুকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে মামলা চালিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব। বয়সের ভারে আমরা সবাই নুহ্য। এ অবস্থায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে তারা যদি আমাদের চাকরিতে পুনঃ নিয়োগ না দেয় তাহলে আমরা এই টেক্সটাইল মিলের গেটেই আত্মাহুতি দেব। আমরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্যকারীদের দ্রুত বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে মাগুরা টেক্সটাইল মিলের ইনচার্জ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনাটি আমরা বিটিএমসির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সেখান থেকে যে নির্দেশ আসবে আমি সে ভাবেই কাজ করবো। তবে এ ব্যাপারে রিভিউর জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.