ফ্রান্সের ডেলিগেশন ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে পরিস্থিতি দেখে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে

কালের সংবাদ ডেস্কঃ বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। আকর্ষণীয় প্যাকেজ ও ট্যাক্স ইনসেনটিভ রয়েছে। এখানে শতাধিক অর্থনৈতিক জোন এবং হাইটেক পার্ক রয়েছে। এসব স্থানে বিনিয়োগ করলে অর্থ বিফলে যাবে না।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের অপেরা বলরুমে ‘বাংলাদেশ-ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এখন ইমার্জিং টাইগার।

ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের কাছে আহ্বান আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। বিনিয়োগের সুফল ঘরে তোলার সুযোগ গ্রহণ করুন।

বাংলাদেশের জিডিপি’র আকার ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে তা বেড়ে বর্তমান ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় প্রায় ২৯০০ ডলার।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে অষ্টম। এরপরেও খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। চাল উৎপাদনে আমরা বিশ্বে চতুর্থ। মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে আমরা তৃতীয়। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনে আমরা বিশ্বে তৃতীয়। দুধ ও পোল্ট্রি উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর খাদ্য নিরাপত্তা সংকট বিশ্বে একটি আলোচিত বিষয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ ভালো জায়গায় অবস্থান করছে। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যবহারে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।

পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

আমাদের মাথাপিছু আয় শুধু দ্রুত বৃদ্ধিই পাচ্ছে না, প্রায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ৫০০০ ডলার। আগামী এক দশকে এই সংখ্যা ৭ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ‘পাশাপাশি আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এমন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা পণ্যের বাজার ভারত, মিয়ানমার, নেপাল এমনকি চীন পর্যন্ত বিস্তার করা সহজতর।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের চিন্তা করছে প্যারিস।’ বাংলাদেশকে ফ্রান্স পার্টনার মনে করে।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.