কেশবপুর কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রতিমার গহনা ও শাড়ী চুরি

শামীম আখতার (খুলনা) ঃ যশোরের কেশবপুরে সার্ব্বজনীন শ্রীশ্রী কালী মন্দিরের পিছনের জানালার গ্রিল কেটে প্রতিমার গহনা ও শাড়ী চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা। গত বুধবার ৮ মে রাতে যেকোন সময় চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

এলাকাবাসী ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বায়সা গ্রামের মৃত মহিত ভুষন চক্রবর্তীর ছেলে শ্রী হারাধন চক্রবর্তী (৭০) দীর্ঘদিন ধরে সার্বজনীন শ্রীশ্রী কালী মন্দিরের পুরোহিত এর দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং পৌর শহরের সাহাপাড়ার মৃত কালীপদ সেনের ছেলে অসিম সেন (৬০) মন্দিরে পরিচর্যার কাজ করে আসছে। তারা প্রতিদিনের ন্যায় গত ৮ মে রাতে আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে মন্দিরের পূজা অর্চনা শেষে মন্দিরের মেইন গেটে তালা দিয়ে বাড়ীতে চলে যান। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে মন্দিরের পরিচর্যা করতে এসে অসিম সেন মন্দিরের মেইন গেট খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় মন্দিরের দ্বিতীয় তলার শ্রীশ্রী কালী প্রতিমার রুমের পিছনের জানালার গ্রিল ও প্রতিমার রুমের এস এস গ্রিল ভেঙে প্রতিমার গায়ে জড়ানো কোন স্বর্নালংকার ও শাড়ী নেই। তাৎক্ষণিকভাবে মন্দির কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ স্থানীয় লোকজনদের জানান। খবর শুনে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মন্দিরে এসে দেখে কালী প্রতিমার গায়ে ব্যবহৃত ৫ ভরি ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের মুকুট, ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের জিভ, ৩ ভরি ওজনের ১টি স্বর্নের সিতাহার, ১ ভরি ওজনের স্বর্নের শাখাপলা, ২ আনা ওজনের স্বর্নের এক জোড়া কানের দুল, ৩ আনা ওজনের ১টি স্বর্নের টিকলি, ১০ ভরি ওজনের রুপার পায়ের নুপুরসহ গহনা, ১ ভরি ওজনের ৩টি কন্ঠ চিক, ১ ভরি ওজনের ৩টি ছোট চেইন এবং ১২ আনা ওজনের ১টি নেকলেস এবং ২০ থেকে ২২টা শাড়ি চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা। খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

 

চুরির বিষয়ে কেন্দ্রীয় কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক কনক সেন বলেন, গতকাল রাতে কে-বা কাহারা মন্দিরের দ্বিতীয় তলাট জানালার গ্রিল কেটে এবং প্রতিমার রুমের গ্রিল ভেঙে কালী প্রতিমার গায়ে থাকা সকল গহনা ও শাড়ী চুরি করে নিয়ে গেছে। আনুমানিক ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১০ ভরি রূপার অলংকার এবং ২০ থেকে ২২টা শাড়ী চুরি করে নিয়ে গেছে। খুব দ্রুত সময়ে মন্দিরের প্রতিমার গহনা ও শাড়ী উদ্ধার করাসহ চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে প্রতিমার গহনা ও শাড়ী চুরির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। চুরির রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.