জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে নাঈম হত্যার রহস্য উদঘাটন

মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের চাঞ্চল্যকর নাঈম হোসেন (২৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এঘটনায় গ্রেফতার হওয়া রেজ্জাকুল দম্পতি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রেজ্জাকুল ওরফে রাজ্জাক (৪৩) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮)।

আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রেজ্জাকুল বলেন, তার স্ত্রীকে ধরঞ্জী গ্রামের মাসুদ রানার পুত্র নাঈম বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসতো। তার স্ত্রী সেই কু -প্রস্তাবে রাজী না হয়ে নাঈমকে বিভিন্নভাবে বোঝাতে চেষ্টা করে। এতেও নাঈম ক্ষান্ত না হওয়াই সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি তার স্বামীকে জানান।

এক পর্যায়ে ত্যক্ত হয়ে রেজ্জাকুল দম্পতি নাঈম ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন গত ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরে রাত ৯টার দিকে নাঈম আবার সাবিনাকে ফোন করলে তাদের মধ্যে কথা বার্তার এক পর্যাযে নাঈমকে তাদের ভাড়াবাড়িতে আসতে বলেন । সেই মোতাবেক নাঈম ঐ রাতে রেজ্জাকুলের ভাড়াবাড়িতে আসলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫টি ঘুমের বড়ি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নাঈমকে পান করান। এতে সে অচেতন হয়ে পড়লে আগে থেকে খাটের নিচে ওৎপেতে থাকা রেজ্জাকুল বের হয়ে এসে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে নাঈমকে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহটি বস্তাবন্দি করে বাড়ির গোসল খানার পাশে ফাঁকা জায়গায় লাশ পুতে রাখেন। এরপর নাঈমের পড়নের শার্ট ও মোবাইল ফোন আগুনে পুড়িয়ে দেন।

পাঁচবিবি থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনার পর নাঈমের মায়ের করা মামলায় পাঁচবিবি থানা পুলিশ র‍্যাবের সহায়তায় দ্রুততম সময়ে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন।

উল্লেখ্য যে গত ২২ এপ্রিল নাঈম নিখোঁজ হলে ২৫ এপ্রিল তার মামা পাঁচবিবি থানায় একটি জিডি করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার ধরঞ্জী বাজার সংলগ্ন সামছুলের বাড়ীর গোলস খানার মেঝের নিচ থেকে বস্তাবন্দি নাঈমের গলিত লাশের হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.