কে এম নুর মোহাম্মদ, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন গর্জন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুইজন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
এসময় দুইজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক অপহরণকারীরা হলেন, টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পানখালী এলাকার মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে মোঃ রবিউল আলম ওরফে কালু (৩৫) ও একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রোজারঘোনা এলাকার জাফর আলমের ছেলে হোসেন আহাম্মদ (২০)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২১ আগস্ট রাতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এ জনৈক মোঃ উমর ফারুক(২৪) অভিযোগ দায়ের করে, তার ছোট ভাই মোঃ ফয়সাল ও চাচাতো ভাই মোঃ নজির আহাম্মদকে হৃীলার ঢালাছড়া গর্জন পাহাড়ে মহিষ চড়ানোর উদ্দেশ্যে গেলে তাদেরকে মোঃ রবিউল আলম এবং হোসেন আহাম্মদসহ একদল সন্ত্রাসীর সহায়তায় অপহরণ করে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে পাহাড়ে গহীনে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর গত ২২ আগস্ট অভিযোগকারীর চাচাতো ভাই মোঃ নজির আহাম্মদ (ভিকটম) এর মোবাইল থেকে মোবাইলে ফোন দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী এবং অন্যথায় তাদের হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার ভিকটিমদের উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও আভিযানিক দলের অভিযান পরিচালনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ থানাধীন হৃীলা ইউনিয়নের হৃীলা ঢালাছড়া গর্জন পাহাড়ের পশ্চিম পাশে অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় অপহৃত দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন।
উদ্ধারকৃত দুই ভিকটিম হচ্ছেন, হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড লেচুয়াপ্রাং এলাকার তুফাজ্জল আহমদের ছেলে মোঃ ফয়সাল (১৮) ও একই এলাকার মৃত জব্বর মুল্লুকের ছেলে মোঃ নজির আহাম্মদ (৪২)।
র্যাবের আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদের নিকট থেকে জানা যায়। ধৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় উক্ত অপহরণকারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় এবং রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে পাহাড়ে আটকে রেখে মুক্তিপনের বিনিময়ে মুক্তি প্রদান করতো মুক্তিপনের টাকা দিতে ব্যার্থ হলে তারা হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলতো।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।