দিনাজপুরের বিরামপুরে আবার বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

মোঃ নয়ন মিয়া, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: একসপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। একসপ্তাহ আগে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, মোকাম থেকেই প্রকার ভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বর্তমানে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে বর্ষার কারণে পেঁয়াজ বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। রোববার (২০ আগস্ট) পেঁয়াজ ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতাসহ আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত রোববার ( ১৩ আগস্ট ) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৩০ টাকা কেজি দরে। আর আজ রোববার কিনতে হলো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা করে। তারপরও পেঁয়াজের মান খুব একটা ভালো না।’

বিরামপুর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, ‘আমদানি শুরুর পর থেকে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহও কম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম দিন দিন বাড়ছে।’

আমদানিকারক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদিত এলাকায় বর্ষার কারণে আমদানি কমে গেছে। যার কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ইন্ডিয়াতে। এ ছাড়াও, গাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। পাশাপাশি সরকার পার কেজি পেঁয়াজে ট্র্যাক্স নির্ধারণ করেছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। পেঁয়াজের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ।’

উল্লেখ্য যে, দেশের পেঁয়াজ চাষিদের কথা বিবেচনা করে সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠায় আবারও আড়াই মাস পর ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। তারপর থেকে স্বাভাবিকই ছিল পেঁয়াজের বাজার। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫০ টাকা দরে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.