পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা স্ত্রীর সঙ্গে অভিমানে নিজের অস্ত্রের গুলি দিয়ে

মোঃ নয়ন মিয়া, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: পুলিশ সদস্যসের বউয়ের পারিবারিক সূএে জানা যায়, পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনে জুয়া খেলতো সে জুয়ে খেলে ৮ লাখ টাকা হেরে গিয়েছিলো। সে টাকা শোধ করে তার পরে আবার জুয়া খেলতো সে বিষয় নিয়ে তার বউ পুলিশ সদস্যকে বুঝাতে গেলে রাগারাগি হয়। সেই কারণে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা করে।

দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিজ রাইফেলের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭) আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আবু সাঈদের ছে‌লে।

পুলিশ জানায়, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে।
এ সময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালায়। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এ সময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার ওপরে একটি ক্ষত চিহৃ ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.