বদলগাছীতে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

বদলগাছী নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর বাজারের ৩জন নৈশ্য প্রহরীকে হাত-পা বেঁধে রেখে বাজারের ৭/৮ টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে। এই ডাকাতির ঘটনায় ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৈকুন্ঠপুর বাজারের সিনজেনটা, ভেটেনারী, মুদি দোকান, বিকাশ এজেন্টসহ ৭/৮টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্থানীয় বাজারে ব্যবসায়ীদৈর মাঝে বিরাজ করছে চরম আতংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২০/২৫ জন ডাকাত পিকআপ ভ্যান নিয়ে বৈকন্ঠপুর বাজারের অবস্থান নেয় । বাজারের ভেতরে প্রহরারত ৩জন নৈশ্য প্রহরীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে বাজারের ৭/৮টি দোকানে ডাকাতি করে নগদ অর্থ ও বিপুলসংখ্যক মালামাল নিয়ে রাত ২টার দিকে ডাকাত সদস্যরা চলে যায় । ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর নৈশ্য প্রহরীদের চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা পাশের মরিচ ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তিন নৈশ প্রহরীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বদলগাছী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সিনজেনন্টা ও ভেটেনারী দোকান মালিক, সুরুজ হোসেন আকন্দ বলেন, রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে বাজার থেকে একজন ফোন করলে আমি জানতে পারি আমার দোকান ডাকাতি হয়েছে। দোকানে এসে দেখতে পাই আমার ২ দোকানের তালাচাবি ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ প্রায় ২/৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।

মুদি দোকানী পরিতোশ কুমার, সনজয় কুমার, টিটু বলেন এলাকার কেউ কেউ এই ডাকাতদলের সদস্যদের সাথে জড়িত আছে বলেও তারা মনে করেন এবং এই ডাকাতদলের সদস্যদের সঠিক ভাবে তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করেন তারা।
নৈশ্য প্রহরী শ্রী প্রদিব কুমার, আব্দুল গফুর, ছাইদুল ইসলাম বলেন,গভীর রাতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমাদের হাত-পা বেঁধে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখে। হাত-বাঁধা অবস্থায় আমাদের কিছুই করার ছিল না।

স্থানীয়রা বলেন, দোকানের মালামাল ডাকাতি হওয়ায় পিছনে বাজারের পাশে মাদকের ব্যবসা দায়ী। মাদকের জন‍্য বাজারে দুর দুরান্ত থেকে লোকজনের আনাগোনা হয় বাজারে। কেউ কেউ পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।

আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান,কেএম রেজাউল করিম পল্টন বলেন, এই ডাকাতির ঘটনা সঠিক ভাবে তদন্ত করে, অভিযুক্ত ডাকাতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত (ওসি) রায়হান হোসেন ক্যামেরার সামনে কোন বক্তব্য দিতে রাজী না হলেও তিনি জানান , খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুতই এই ডাকাতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.