ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রলীগ নেতার সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা থানায় অভিযোগ

সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রলীগ নেতার সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঐ গৃহবধ উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পার-ভাঙ্গুড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী (২৪) ও দুই সন্তানের জননী। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযুক্ত একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইকরাম হোসেন (২৮)। একরাম সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। একরামকে ধর্ষণ চেষ্টার সময় সহযোগিতা করেন একই গ্রামের মোকছেদ প্রমানিকের ছেলে ও সাবেক ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম(৩০) ও হাসান আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম(২৬)। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভুগী ঐ গৃহবধূ।

গৃহবধূ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে তার চার বছরের শিশু সন্তানকে ঘরের মধ্যে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় ইকরাম তার বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে কেউ না থাকায় একরাম ওই গৃহবধূকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। এ সময় গৃহবধূর শিশু বাচ্চা চিৎকার দিলে লম্পট একরাম ওই বাচ্চার মুখ চেপে ধরে। কিছু সময় ধস্তাধস্তির পর গৃহবধূ একরাম কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ঘরের দরজা আটকে দেয়। লোকজন টের পাওয়ার ভয়ে একরাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। জোহরের নামাজ শেষে ওই গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ি আসলে ঘটনা তাকে খুলে বলে এবং বিকেলে গ্রাম প্রধানদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।

গৃহবধূ আরো বলেন, ঘটনার সময় একই গ্রামের মোকছেদ প্রামানিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ও হাসান আলীর ছেলে শরিফুল একরামকে সহযোগিতার করার জন্য আমার ঘরের কোনায় দাঁড়িয়েছিল।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকরাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা তার বাড়ির পাশের পুকুরে কাজ করছিলাম। তার বাড়িতে মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি রেখেছিলাম। কাজ শেষে আমি ও আমার গ্রামের শরিফুল ও হাফিজুল একসঙ্গে তার বাড়িতে রাখা মোবাইল ফোন ও চাবি আনতে গিয়েছিলাম। আমরা সেগুলো নিয়ে তার বাড়ি থেকে চলে এসেছি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল বলেন, কাজ শেষে ইকরাম ঐ গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে চাবি ও মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছে। আমি তার পূর্বেই আমার বাড়িতে চলে এসে ছিলাম।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.