বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, সিফাত আল বখতিয়ার: স্বামীর সাথে অভিমান বড় বোনের মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ১ গার্মেন্টস কর্মী। পথে বারোপুর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি নষ্ট হয়।
তখন তিনি বগুড়া কাহালু উপজেলা পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার পূর্ব পাড়া গ্রামে তার কলিগের এক পরিচিত বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তার ১৫ বছর বয়সী বোনের মেয়ে এবং তিনি গণধর্ষণের শিকার হন।এছাড়াও তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার মোবাইল ফোন লুণ্ঠিত হয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই রাত সোয়া ৮টার দিকে। এই ঘটনায় বুধবার ১৯ জুলাই কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ভোর ৬টার দিকে কাহালু বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান ভিক্টিম নারী নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টস ক্লিনার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি অভিমান করে বড় বোনের মেয়েকে নিয়ে রংপুরের এক আত্মীয়র বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে তাদের বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রব্বানী নামের এক কলিগের সাথে তার দেখা হয়। ভিকটিমের কলিগ তার এলাকায় রাজ্জাকের বাড়িতে নিয়ে যায়। মামলার মূল আসামী মানিক এলাকায় রটিয়ে দেন রাজ্জাকের বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। এ ঘটনা শুনে রাজ্জাক ভিকটিমকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা তিনজন ভ্যানে চেপে রংপুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন
বাগওয়েল গ্রামের বড়পুকুর ব্রিজে সামনে পৌঁছালে মানিক তাদের পথরোধ করেন। আসামি মানিক তার ৪-৫ জন বন্ধুকে ফোন দিয়ে আসতে বলেন। এরপর মূল আসামি মানিক ভ্যানচালককে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের তিনজনের কাছ থেকে নগদ ৭২ হাজার টাকা একজোড়া কানের রিং এবং ফোন নিয়ে নেয়। এরপর মানিক ও তার বন্ধুরা ভ্যানচালক এবং রাজ্জাককে মারধর করে এবং ভিকটিম ও তার বড় বোনের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণ করে। পরে ওই এলাকায় পশ্চিমপাড়া একটি পুকুর পাড়ে তাদের গণধর্ষণ করে। পরে ভিকটিম ও তার বড় বোনের মেয়ে ঢাকায় নিয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর সুস্থ হয়ে তারা পাইকার গ্রামে আবার আসেন তারা।
রাজ্জাকের সাথে নিয়ে থানায় অভিযুক্তদের নামে মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ধর্ষণ এবং ডাকাতির কথা স্বীকার করে বলে জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।