হিলিতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ নয়ন মিয়া, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে স্বামী-স্ত্রী’র কলহ-দন্দের জেরে অভিমান করে স্বামী ফিরোজ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাকিমপুর হিলি পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্য বাসুদেবপুর এলাকার ইয়াকুব মাষ্টার এর বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া ফিরোজ হোসেন এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেও পা দুটো মেঝেতে লাগিয়ে ছিলো।

নিহত ফিরোজ হোসেন চুয়াডাঙ্গা এলাকার সামছুল আলম এর ছেলে। সে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিথী বেগমকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর যাবৎ হিলিতে বসবাস করে আসছে। ফিরোজ হোসেন পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলায় হলেও নিহত ফিরোজ হোসেন স্বামী স্ত্রী ও শাশুড়ীসহ হিলিতে বসবাস করে দীর্ঘদিন থেকে।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এর কমিশনার মোঃ দুলাল হোসেন জানান, আজ সকাল আটটা নাগাদ বাড়ির মালিক ইয়াকুব মাষ্টার আমাকে মোবাইল ফোনে জানান তার বাড়ির ভাড়াটিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্হলে এসে দেখি নিহত ফিরোজ হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে তার মরদেহ বারান্দায় ঝুলিয়ে আছে। এরপর আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিথী বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমাদের স্বামী- স্ত্রী’র মধ্যে দন্দ চলছিলো তাই আজ আমি মায়ের বাড়িতে ছিলাম। সকালে এসে বাড়ির দরজা খুলে দেখি আমার স্বামীর মরদেহ ঝুলিয়ে আছে। নিহত ফিরোজ হোসেন এর প্রথম স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকে বলে জানান দ্বিতীয় স্ত্রী বিথী বেগম। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্হল থেকে ফিরোজ হোসেন এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পার্শ্ববর্তী ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার শামীম সরদার জানান, নিহত ফিরোজ হোসেন, তার স্ত্রী ও শাশুড়ী গতকাল রাতে আমার কাছে আসছিলো তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দন্দ চলছিলো তা মিমাংসা করার জন্য। আমি তাদের কথা বার্তা শুনে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলি ও পরামর্শ দেয়। আজ সকালে শুনতেছি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু ছায়েম মিয়া জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্হলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। নিহতের পা দুটো মেঝেতে লেগে থাকলেও তার গলায় ফাঁস দেওয়ার দাগ দেখে মনে হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। প্রাথমিক অবস্থায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বুঝা যাবে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.