৩ কোটি টাকার স্বর্ণ আত্নসাৎ করতে হত্যা বেনাপোলের অপহরনকারীর ৫ দিন পর লাশ মিলল মাগুরা

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক যুগে এসে দির্ঘ ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ ছিনতাই এবং  অপহরন এর পর হত্যাকারীদের এখনো আটক করতে পারেনি অভিযুক্ত আসামিদের। ১১ নভেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে মাত্র ২০০গজ দুরে অপহরনকারীকে নির্যাতন এর পর হত্যা করে মাগুরা আলমখালী নামে একটি বাগানে লাশ ফেলে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।

গত কয়েকদিন আগে বেনাপোলে একটি ভবনের তিন তলায় বেনাপোল পৌরসভার একজন কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন থেকে ওই পৌর কাউন্সিলর এর মোবাইল নাম্বার বন্ধ এবং এলাকায় তার হদিস মিলছে না। তবে তার বাড়ি পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে জানা গেছে।

অপহরন এর পর হত্যার শিকার ওমর ফারুক ওরফে সুমন এর বাড়ি শার্শা উপজেলার টেংরালী গ্রামে। তার পিতার নাম ওসমান গনি। মাগুরা পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর নিহতর বাড়ি চলছে শোকের মাতম।

সুত্র মতে ওমর ফারুক অপহরনের দুই দিন পর তার মা ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানায় এজাহার দায়ের করলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে আটক হয়নি বলে পরিবার এর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বেনাপোলে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের  সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর  কামাল হোসেন । সে থানার বড় আঁচড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে । একই থানার সাদিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলম এর ছেলে এজাজ রহমান (২৮) শার্শার শালকোনা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের বাটুলের ছেলে পলাশ (২৮) সহ ৮/১০ জন অজ্ঞাত রয়েছে।

পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ১১ নভেম্বও ২০২৩ ইং তারিখ দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার যোগে পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরবর্তী দিন ১২ তারিখ সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলে ওমর ফারুকের পরিবার জানতে পারে সে অপহরণ হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি অপহরণ কারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাঘব বোয়ালদের মুখোশ উন্মেচনসহ সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা। স্বর্ণকান্ডে সুমন অপহরণ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে সুমন অপহরন ও হত্যা কান্ডর সাথে রয়েছে বেনাপোল শার্শার রাজনৈতিক অনেক ব্যাক্তিত্ব। কামাল জামালকে আটক করলে বেরিয়ে আসবে অনেক রাঘববোয়ালদের তথ্য। অপহরন এর পর হত্যার সাথে সর্ম্পক্ত সন্দেহ ভাজন কামাল জামালকে রাঘব বোয়ালরা ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে ও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

তবে ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রশাসন এর লোক সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন মাগুরা পুলিশ একটি বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে । লাশ সনাক্তর পর বলা যাবে এই লাশটি ওমর ফারুক সুমন এর কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.