কালের সংবাদ ডেস্কঃ পুরো বিশ্ব দেখেছিল বাংলাদেশের উন্মাদনা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে।
আর্জেন্টিনা দলের প্রত্যেক সদস্য দেখেছেন তাদের নিয়ে ১৭,৩২৯ কিলোমিটার দূরের একটি দেশের মানুষ কতোটা আবেগে ভাসতে পারে। স্বয়ং লিওনেল মেসিও এটা নিয়ে কথা বলেছেন। সেই ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মূল সফর কলকাতায় থাকলেও তার আগে বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মার্টিনেজ বাংলাদেশে আসবেন এটা চাউর হয় গত মাসের শুরুর দিকে। এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে গতকাল ভোরে বাংলাদেশে পৌঁছান এমি। প্লেন থেকে নামার পর থেকেই বিভিন্ন মুহূর্ত নিজের মুঠোফোনে বন্দি করে রাখতে দেখা যায় তাকে।
ভোর ৫টা ১০মিনিটে আমস্টারডাম থেকে ঢাকায় পা রাখেন মার্টিনেজ। কয়েক হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে ট্রানজিটও ছিল ফ্লাইটে। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে প্রায় দশ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ করে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন মার্র্টিনেজ। সব মিলিয়ে তার ভ্রমণকালীন সময় ছিল ৩০ ঘণ্টারও বেশি।
বিশ্রাম নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর বাড্ডায় তার পৃষ্ঠপোষক ফান্ডেড নেক্সটের বাণিজ্যিক অফিস পরিদর্শন করেন মার্টিনেজ। এ প্রতিষ্ঠানটিই মূলত মার্টিনেজকে বাংলাদেশে এনেছে।
আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট সময় কাটান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উচ্ছ্বসিত মাশরাফি তার ফেসবুকেও লিখেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এ সময় পলকের দুই ছেলে এবং স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।
মার্টিনেজকে বাংলাদেশে আনা ফান্ডেড নেক্সট কোম্পানির পক্ষ থেকে ‘বাজপাখি’ উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলকিপারকে পাটের তৈরি নৌকা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বই উপহার দেওয়া হয়।
দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন মার্টিনেজ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আর্জেন্টিনার একটি জার্সি উপহার দেন এই বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক। দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছেন তিনি। ৪টা ৪০ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশ্যে ফের বিমান ধরেন মার্টিনেজ।