‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে আর ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো’ জ্যোতির্ময়’ আহ্বান- শুভ বড়দিন আজ

কালের সংবাদ ডেক্সঃ গির্জা, গৃহ-দুয়ার আর অভিজাত হোটেলগুলো বর্ণিল আলোকের রোশনাইয়ে ভেসে যাচ্ছে।

আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন।আজ খ্রিষ্টানদের ঘরে ঘরে উৎসবের আনন্দধারা।

মানুষের ‘মনের রাজা’ যিশুখ্রিষ্ট এ দিন আসেন এই পৃথিবীতে। খ্রিষ্টধর্ম বিশ্বাসে ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে আর ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো’—এই ‘সদা দীপ্ত রহে অক্ষয় জ্যোতির্ময়’ আহ্বান নিয়ে।

প্রভাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা (খ্রিষ্টযোগ) দিয়ে শুরু হবে। খ্রিষ্টধর্ম বিশ্বাসীদের বাড়িতে বাড়িতে হবে কেক, পিঠা, পোলাও-বিরিয়ানি সহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও উন্নতমানের খাবারদাবারের আয়োজন। তার সাথে হবে বেড়ানো, ধর্মীয় গান, কীর্তন, অতিথি আপ্যায়ন।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল।

সেই নারীই কুমারী মেরি—মুসলমানদের কাছে যিনি পরিচিত হজরত মরিয়ম (আ.) হিসেবে।

খ্রিষ্ট বিশ্বাস বলে, ‘ঈশ্বরের অনুগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূত এর কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায় ‘যিশু’।

আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ২২ বছর আগে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্ম হয়েছিল যিশুর।

শিশুটি কিন্তু মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন।

তিনি বললেন,‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে।

তিনি বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরাল।

রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলেন না। যিশুখ্রিষ্টকে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। তারা যিশুকে বন্দী করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন।

যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিস্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্য যুগে। সে সময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published.