জাতীয় নির্বাচনে সাড়ে ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র, বেড়েছে বেশি কুমিল্লায়

কালের সংবাদ ডেস্কঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকায় প্রায় দুই হাজার ২০০টির বেশি ভোটকেন্দ্র বাড়ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খসড়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের তথ্য দিয়েছে ইসি।

ইসির ১০টি অঞ্চলের মধ্যে এবার কুমিল্লা অঞ্চলে কেন্দ্র বাড়ছে বেশি। এ অঞ্চলে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় পর্যায় দাবি-আপত্তির জন্য এ খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্র বাড়ছে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে এ সংখ্যা আরও কম-বেশি হতে পারে।

জানা গেছে, একাদশের ৪০ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৪০০টির মতো হতে পারে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্র বাড়ছে দুই হাজারের বেশি। আর গত নির্বাচনের সময়কার ২ লাখ ৭ হাজার ৩৯৯ ভোট কক্ষ থেকে বেড়ে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ হতে পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র বাড়ছে ২৬ শতাংশ। তবে ইসির চূড়ান্ত হিসেবে কিছু কম-বেশি হতে পারে।

কর্মকর্তারা জানান, ইসির ১০টি অঞ্চলের মধ্যে এবার কুমিল্লা অঞ্চলে কেন্দ্র বাড়ছে বেশি। এ অঞ্চলে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলে একাদশের ৪ হাজার ২৯৪টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৭০০টির মতো কেন্দ্র। সব চেয়ে কম বাড়ছে সিলেট অঞ্চলে। সেখানে একাদশের দুই হাজার ৮০৫টি কেন্দ্র থেকে বেড়ে দুই হাজার ৮০০ হচ্ছে।

বুধবার প্রকাশিত খসড়া কেন্দ্রের ওপর দাবি-আপত্তির নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইন-বিধি অনুযায়ী ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো ভোটকেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা সরেজমিন যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে জানাবেন। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোটারের ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল, তাতে দুই লাখ ৭ হাজার ৩১৯ ভোট কক্ষ ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি (ভোটকক্ষ এক লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি)। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের জন্য কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি (ভোট কক্ষ এক লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি)।

Leave a Reply

Your email address will not be published.