কেশবপুরে আবারও পিতামাতার উপর অভিমান করে আরেক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের আত্মহত্যা

শামীম আখতার, বিভাগ (খুলনা)ঃ  কেশবপুরে আবারো পিতামাতার উপর অভিমান করে নাঈমুল ইসলাম (১৩) নামে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ৯ মার্চ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভরতভায়না গ্রামে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এর আগে ৩ মার্চ গড়ভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্র ফারুক হোসেন (১৬) পিতার উপর অভিমান করে বাড়ির পাশে আমগাছের ডালে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভরতভায়না গ্রামের এস এম তোবারক হোসেনের ছেলে নাঈমুল ইসলাম খুলনা জেলার চুকনগর চাকুন্দিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করতো। গত ৭ মার্চ মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে সে বাড়িতে আসে। বাড়িতে দুদিন থাকার পরে গত ৯ মার্চ নাঈমুলের মা শাহানাজ খাতুন মাদ্রাসায় যেতে বললে সে মাদ্রাসায় যেতে চাইনা। তখন পিতা-মাতার সাথে কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। পরবর্তীতে নাঈমুল পিতা-মাতার উপর অভিমান করে একই গ্রামের মামা আকবর হোসেন মোল্যার (৪৫) বাড়ীতে যায় এবং সকলের অগোচরে বসতবাড়ির সিড়ি ঘরের নারিকেল কাঠের আঁড়ার সাথে গলায় লাইলনের নেট পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। নানী ছালেহা বেগম দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুকনগর হালিমা ক্লিনিক নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাঈমুলকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এর আগে ৩ মার্চ গড়ভাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলাম মোড়লের ছেলে গড়ভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্র ফারুক হোসেন (১৬) তার পিতার উপর অভিমান করে বাড়ীর পাশে একটি আমগাছের ডালের সাথে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন, পিতামাতার উপর অভিমান করে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসলে এখানকার মানুষ খুবই আবেগ প্রবণ। তুচ্ছ ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটা বেশি। এর আগেও ৩ মার্চ গড়ভাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্র ফারুক হোসেন পিতার উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করে। এছাড়াও চলতি মাসে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটন জনিত হতাশা থেকে আত্মহত্যা বেশি হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.