আন্দোলন-বিএনপি ও সমমনা দল

কালের সংবাদ ডেস্কঃ দল গোছানোর পাশাপাশি ৩০০ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গোপনে চলছে কাজ বিএনপি’তে॥

দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের পাশাপাশি ভিতরে ভিতরে চলছে সেই প্রস্তুতি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন এবং আন্দোলন দুই প্রস্তুতিই আছে বিএনপিতে।

হাইকমান্ড নানা মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রতি আসনে দুজন করে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করছেন। আসন্ন পাঁচ সিটি ভোটে মাঠে থাকবে তারা কৌশলে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। আর এ কর্মসূচি মূলত তত্ত্বাবধান করতে দেওয়া হয়েছে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হতে পারেন এমন সম্ভাব্য প্রার্থীদের।

মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। আন্দোলনে রাজপথে না থাকলে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। হাইকমান্ডের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, তাদের এখন একমাত্র চিন্তা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনসহ ১০ দফা দাবিতে মিত্র জোট ও দলকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘যুগপৎ আন্দোলন’।

এ আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে জেএসডি-প্রধান আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে সাতদলীয় ঐক্যজোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ২০-দলীয় জোট বিলুপ্তির পর সেখানকার কয়েকটি দল নিয়ে গঠিত ১২-দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। এর সঙ্গে আরও রয়েছে পেশাজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট। এ পর্যন্ত গণমিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, পদযাত্রা, সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.