মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, ময়লা আবর্জনা যদি মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তা হাজার চেষ্টা করলেও পরিস্কার করা যায় না। আজ শার্শায় একটি মানুষকে দেখা যায় তিনি নিজের ক্যাম্বাস নিজে করে আমি খুব সৎ আমি খুব সৎ। একটি মানুষ ন্ইে যে বলে উনি খুব সৎ। তিনি নিজের ঢোল নিজে বাজায়। তিনি একথা বলে বিগত ১৫ টি বর্ছ শার্শার মানুষকে বোকা বানিয়েছে। আজ অত্যাচার নির্যাতন এর মাত্রা এমন জায়গায় পৌছে গেছে যে এখন আর বোকা বানানোর তার কোন সুযোগ নেই। জুলুম করলে পাল্টা আঘাত করার পরিবেশ তৈরী হয়েছে। একটি মানুষ আর ছেড়ে কথা বলবে না। আজ যে বোমা তৈরী করে কোথায় কোথায় পাঠাচ্ছেন সব রিপোর্ট গোয়েন্দোর কাছে আছে। অত্যাচারিত অভিশপ্ত মানুষ চিরদনি রাজত্ব করতে পারে না। তাই আমি চেয়ারম্যান তবিবর রহমানকে বলতে চাই আজ আপনি যে ভাবে ভিজিএফ কার্ড কেড়ে নিচ্ছেন এক সময় আপানার ক্ষমতাও জনগন কেড়ে নিবে। কথাগুলো বললেন দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্ববাচন উপলক্ষে শার্শার গোগা ইউনিয়নে পথসভায় আশরাফুল আলম লিটন।
শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় গোগা বাজারে শার্শার সকল স্তরের মানুষের আয়োজনে নির্বাচনী পথসভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ট্ াআব্দুল মান্নান মিন্নু।
প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, যারা ভোটারদের ভয় পায় তাদের নির্বাচন করতে হবে কেন? তুমি এত সৎ লোক তবে কেন তুমি ভোটারদের বাধা দিচ্ছ। বাড়ি বাড়ি যেয়ে তোমার সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিশেধ করছে। তুমি যে অন্যায় অত্যাচার করেছে শার্শায় ১৫ টি বছর তার জবাব শার্শ্রা মানুষ তোমাকে আগামি ৭ তারিখে দিবে । তোমার সাথে খেলা হবে আগামি ৭ তারিখে। তুমি পিতার বয়সী পিতাকে আঘাত করেছে। তুমি বড় ভাইয়ের বয়সী মানুষকে আঘাত করেছে। তুমি পোলিং এজেন্ট দিতে দিবে না। কেন ভোটের মাঠ টা কি তোমার বাপের। এবার আর প্রশাসনকে ব্্যবহার করা যাবে না। এবারের প্রশাসন ভোটারদের প্রশাসন। তুমি কত ভাল কাজ করেছে বিগত ১৫ টি বছর। তার হিসাব নিকাশ হবে ৭ তারিখে। তুমি যদি ভালো কাজ করে থাক তবে ওই দিন তুমি গুনে হিসাব করে নিও।
তিনি আরো বলেন, যারা ভোটারকে ভয় পান তারা কেন ভোটে দাঁড়ান। তুমি কত ভাল কাজ করেছে গত ১৫ টি বছর, মানুষের কাছে কত উন্নয়ন পৌছে দিয়েছ, ভোটের মাঠে আসবেন না আসলে সামনে ভোট দিতে হবে। কত যোগ্যতার সাথে সাথে নেতৃত্ব দিয়েছ , কত মানুষকে মায়া দিয়ে ভালোবেসেছ তার প্রমান হবে আগামী ৭ তারিখে। তুমি যদি এত সৎ লোক হও তবে কেন ভোটারদের ভয় পাচ্ছ এবং ভয় দিচ্ছ। তুমি যে যন্ত্রনা ব্যথ্ াদিয়েছে এসব যন্ত্রনা ব্যাথা পুঞ্জিভুত হয়ে শার্শার মানুষ একত্রিত হয়ে একটি টর্নেডো ঝড় রেডি হয়ে আছে। যে কোন সময় শার্শার এই ভোটাররা টর্নেডে ঝড় বিস্ফোরন ঘটিয়ে তোমাকে বিতাড়িত করবে। কারন অত্যাচারিত অভিশপ্ত মানুষ চিরদনি রাজত্ব করতে পারে না। এই সব অত্যাচারীদের ছেলে মেয়েদের একসময় মানুষ ধিক্কার দিবে। মানুষ বলবে ওরা অত্যাচারি বোমাবাজ এর ছেলে মেয়ে।
প্রধান অতিথি বলেন, এই শার্শায় এমন একটি ইতিহাস রচনা হবে। শার্শার নির্যাতীত নিপীড়িত মানুষ মুক্ত হবে। একটি অপশক্তি দুর হবে। আর এই ইতিহাস লিখবে শার্শার ভোটারা। এই ইতিহাস রচিত হবে মানবিক শার্শার ইতিহাস, এই ইতিহাস রচিত হবে স্বস্থি শান্তি, উন্নয়ন ও স্মার্ট শার্শার ইতিহাস। মানুষের মুখের হাসির চেয়ে আর কোন ভাল কিছু হতে পারে না। আমি চাই শার্শার মানুষের মুখে হাসি। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু হতে পারে না। আজ দেখেন যে আপনাদের কাদিয়েছে সে টিস্যু পেপার দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে আপনাদের দোয়ারে যাচ্ছে। আর বলছে আমি এখন প্রতি মাসে একবার আপনাদের কাছে আসব। এটা সে আবারও চালাকি শুরু করেছে।
আজ যাকে সংসদে বিগত ১৫ টি বছর জয়ী করে পাঠিয়েছেন আপনাদের উন্নয়নের জন্য এই ভুমির জন্য। এই জনপদের দুঃখী মানুষের কথা বলতে । তাকে কি আপনারা সংসদে দেখেন। দেখেন না। কারন তিনি সংসদ হয়েছেন তিনার নিজের ভাগ্যউন্নয়ন এর জন্য। আর নয় এবার খেলা হবে ৭ তারিখে ভোটের মাঠে এসে আপনাদের ভোট বুঝে নেওয়া। কারন ওরা চুরি করতে পারে ভোট। এসব হতে দেওয়া যাবে না। ওই দিন শার্শার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যেমে।
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান মিন্নু বলেন, এই অত্যাচারী লুন্ঠনকারীকে আর শার্শায় অবস্থান তৈরী করতে দেওয়া যাবে না। আগামি ৭ তারিখে তাকে ভোটের মাধ্যে জবাব দিয়ে সসম্মানে বিদায় দিতে হবে।
উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তবিবার একজন চোরাচালানি মাদক ফেনসিডিল এর সিন্ডিকেট প্রধান। সে নির্বাচনী পথসভ্ াকরতে স্কুলের সভাপতি হিসাবে অনুমতি দেয়নি। এই চোরাচালানিকে আগামি ৭ তারিখে ভোটের মাধ্যেমে জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে তারও সময় শেষ।
সাবেক গোগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যন আব্দুর রশিদ বলেন, এমপি আমাকে নৌকা মার্কা পাওয়ার পরও আনারস মার্কার সমর্থন দিয়ে ভোট চুরির মাধ্যেমে আমাকে হারিয়েছে। তাই আজ সে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরও আমরা তার সাথে নেই। আশরাফুল আলম লিটন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। আমরা তাকে ট্রাক প্রতিকে ভ্টো দিয়ে জয় যুক্ত করব। এবং শার্শা থেকে এই অত্যাচারী জুলুমবাজকে বিতাড়িত করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, বন ও পরিবশে বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, কোষাধ্যাক্ষ খোদা বক্স, আওয়ামী নেতা বদিয়ার রহমান তরফদার সাবেক কায়বা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলু, বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফফার সরদার, নিজামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল,সাবেক ছাত্র নেতা আশাদুজ্জামান হাই, উপজেলা যুবলীগ এর আহবায়ক শাহিদুজ্জামান বিটন, আওয়ামী নেতা রবিউল ইসলাম,আঃ রহমান প্রমুখ।