জনগণকে দাবিয়ে রেখে আ’লীগের শেষরক্ষা হবে না: ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। ভয়ংকর আইন করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখছে। কিন্তু এসব করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতেই হবে। যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, বিএনপি সেই নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো তালবাহানা জনগণ মানবে না।’

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ি সংলগ্ন নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় বিএনপিঘোষিত গণমিছিল সফল করার লক্ষ্যে এ সভা হয়।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। দেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাদের হাতে নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এ রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তুলে ধরেছে বিএনপি। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আগামী ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিল পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে হবে। আমরা আশা করবো, চট্টগ্রামের প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।’

সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ এখন চেষ্টা করছে যেন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে না পারে। সেই ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন তারা। এজন্য তারা ইভিএম চালু করেছেন। এ ইভিএম তাদের ভোট চুরির আরেকটা বড় হাতিয়ার। কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়, সেই ইভিএম তারা করছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। কারণ আওয়ামী লীগ এখন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তারা জিততে পারবে না। তাই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এখন ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, কৃষক দলের সদস্যসচিব কামাল পাশা নিজামী, ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী, জাসাসের আহ্বায়ক এম এ মুছা বাবলু, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.