বেনাপোলে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক শহীদ এর নেতৃত্বে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

Lমোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল : দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুশাসন এর অবসান হওয়ায় বেনাপোলে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়। যশোর বিএনপির জাতীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এর নির্দেশনায় বেনাপোল স্থল বন্দরের ৯২৫ হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন  এর সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদ আলীর নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় বিক্ষোভ মিছিলটি স্থল বন্দর বেনাপোলের ৯২৫  হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে বেনাপোল বাজার হয়ে প্রদক্ষিন শেষে শ্রমিক ইউনিয়নে ফিরে আসে। এবং সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন  ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম ছনি, ৯২৫ হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন এর সহসভাপতি ও বেনাপোল  পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড  বিএনপির সাধারন সম্পাদক  ইসহাক মিয়া, সাধারন সম্পাদক শহীদ আলী, সহসাধারন সম্পাদক তবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী,দপ্তর সম্পাদক মোঃ কাশেম, ক্যাশিয়ার মোঃ হারুন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস আলী  প্রচার সম্পাদক রায়হানুজ্জামান,বেনাপোল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি ্এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আতিকুজ্জামান ছনি বলেন, আমাদের স্থল বন্দর এর সকল কার্যক্রম সচল থাকবে। এখানে কোন বিশৃংখলা করা যাবে না। এবং বিগত দিন শ্রমিকদের উপর যে অত্যাচার অনাচার নিপিড়ন নির্যাতন হয়েছে তা যেন না হয়। তাহলে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদি দল (বিএনপির) বদনাম হবে। আমাদের সকল শ্রমিককে স্থল বন্দরকে নিজের প্রতিষ্ঠান ভেবে কাজ করতে হবে। এখানকার আমদানি রফতানি ব্যাহত হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। কারন রাজস্ব আহরন হবে না আর আমদানি রফতানি পণ্য রোদ বৃষ্টিতে ভিজে গুনগত মান নষ্ট হবে।

বেনাপোল ৯২৫ হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ই্উনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক শহীদ আলী বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের দু:শাসন অপশাসন থেকে আজ দেশবাসিকে মুক্ত করেছি। আজ খোলা আকাশে বাতাসে মানুষ প্রান খুলে নিশ্বাস নিচ্ছে। আমরা চাই দেশ এগিয়ে যাক। তাই স্থল বন্দর বেনাপোলের সকল কার্যক্রম ঠিক থাকবে সে লক্ষে কাজ করতে হবে। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্য বলেন বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের জন্য এই বন্দরের শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের অনেক টাকা দায়িত্বে থাকা লোকগুলি লোপাট করেছে। তাই আমি বলতে চাই আপনারা প্রান খুলে কাজ করুন সময়মত আপনাদের বেতন আপনারা পেয়ে যাবেন। তাদের যদি একটি টাকা কেউ মেরে খাওয়ার অপচেষ্টা করে তাহলে সেই ব্যক্তিকে অন্তত ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নে রাখা যাবে না। কারন শ্রমিকদের রক্তের পয়সা নিয়ে কোন ছিনি মিনি খেলা যাবে না। আজ দেশকে সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে শ্রমিকদের আমাদের সন্মান মর্র্যদা দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.