সরকারের পদত্যাগ সহ কয়েক দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচি

মাগুরা প্রতিনিধি, খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন: সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু ও সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ অক্টোবর ২০২৩ সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু। বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম আনিসুর রহমান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সামনে সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক আগামী তিন বা সাড়ে তিন মাস পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের জনগণ এখনও ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল জনগণের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ক মতামতের কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ জানে, স্বাধীনতাত্তোর এ যাবৎকালে ১১টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। এই ৭টি নির্বাচনই বিতর্কিত। ৪টি নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম বির্তকিত বা মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালে দিনের ভোট আগের দিন রাতে সম্পন্ন করা– এ সবই জনগণ জানে। ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা বিরাজ করছে।
বক্তাগণ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পর আমাদের দেশের কী অবস্থা? দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন অবস্থা, সিন্ডিকেট করে সরকারের ছত্রছায়ায় একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। লুটপাট, টাকা পাচার, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ কমে যাওয়া– দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক পর্যায়ে। প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র দলীয়করণ ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ৫২ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ শাসন করে শাসকগোষ্ঠী হয়েছে চরম ক্ষমতাধর, আর দেশের মানুষ দিন দিন হয়েছে ক্ষমতাহীন, অসহায়। এই অবস্থার পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।
সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু ও সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.