মোঃ আনিছুর রহমান ,বেনাপোল প্রতিনিধি: কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ভারত থেকে গরু চোরাচালান ও ঈদের পর ভারতে চামড়া পাচার রোধ এবং পুশ-ইন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিবি। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরজারি বৃদ্ধি ছাড়াও সার্বণিক টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবির আওতাধীন সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ধান্যখোলা ঘিবার এই বিশাল সীমান্ত জুড়ে বিজিবির কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।জানা যায়, কোরবানি ঈদ উপলে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেশে গরু পাচার এবং ঈদের পর কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার করার জন্য চোরাকারবারিরা তৎপর হয়ে উঠে। এ অবস্থায় চোরাকারবারিদের রুখতে আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে ৪৯ বিজিবি।
শুক্রবার (৬ জুন) ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাদিপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্ত পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে ব্যাটালিয়ন সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদকে বেনাপোল এলাকা সহ ৪৯ বিজিবির সকল সীমান্ত এলাকার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালান এবং চামড়া পাচার প্রতিরোধের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ রয়েছে। দেশীয় খামারিরা যেন তিগ্রস্ত না হয় এজন্য ভারত থেকে যাতে কোনো গরু দেশে ঢুকতে না পারে এবং ঈদের পর কুরবানির চামড়া যাতে পাচার হয়ে যেতে না পারে সেজন্য ৪৯ বিজিবির অধীনস্থ সকল বিওপি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ উৎসবে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের ব্যস্ততার সুযোগে যেন পুশ-ইন করতে না পারে সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য যশোর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সীমান্ত ছাড়াও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রা এবং ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় সার্বণিক তৎপর থাকবে।