চৈতী প্রতিবেদকঃ দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি–সমৃদ্ধি এবংবিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনায় ধর্মীয় ভাব–গাম্ভীর্যেরমধ্য দিয়ে সারাদেশে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগেপবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিতজামাতগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরস্বতঃস্ফূর্ত ও সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ারমতো। ঈদগাহে নারী–পুরুষের এই সম্মিলিতউপস্থিতি ইসলামের স্বর্ণযুগের কথাই যেন মনেকরিয়ে দেয়। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথেঈদের জামাতে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশকরেন নারী মুসল্লিরা।
হেযবুত তওহীদের প্রধান ও কেন্দ্রীয় জামাত অনুষ্ঠিতহয় সংগঠনের শীর্ষনেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদসেলিমের নিজ গ্রাম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীউপজেলার চাষীরহাটে। নোয়াখালীর বিভিন্নউপজেলা থেকে আগত হাজার হাজার মুসল্লিরঅংশগ্রহণে এসময় ইদগাহ ময়দান পূর্ণ হয়ে ওঠে।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুততওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।জামাত–পূর্ব আলোচনায় তিনি কোরবানির প্রকৃততাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, কোরবানি হচ্ছে আল্লাহরনৈকট্য হাসিলের মাধ্যম। আল্লাহ বলেছেন, পশুররক্ত–মাংস আল্লাহর কাছে পৌছায় না, পৌছায়তাকওয়া অর্থাৎ খোদাভীতি। সত্যিকার কোরবানিকিভাবে করতে হয় তা আখেরী নবী মোহাম্মদ সাঃ ওতাঁর সাহাবীরা আমাদেরকে দেখিয়ে গিয়েছেন। তারাআল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য রণাঙ্গনে শহীদহয়েছেন।
ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সুদ, ঘুষ, অর্থ পাচার, ধাপ্পাবাজি করে গরু জবাই দিলেইকোরবানি হয় না। বরং আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠারসংগ্রামে নিজের জীবন–সম্পদ উৎসর্গ করাইকোরবানির আসল উদ্দেশ্য।
খুৎবার আগে বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদেরকেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন। জামাতে অংশনেওয়া নারী মুসল্লিদের সামনে আলোচনা করেনহেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহপন্নী।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় মহানগর হেযবুত তওহীদউদ্যোগে বিশাল ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।সকাল ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত এইজামাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগতহাজারো নারী–পুরুষের অংশগ্রহণে জামাতস্থলমুখরিত হয়ে ওঠে।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুততওহীদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফরিদউদ্দিন রাব্বানি। জামাত–পূর্ব আলোচনায় বক্তব্যরাখেন সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় আমিরমশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুবআলম মাহফুজ এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকশফিকুল আলম উখবাহ।
পাশাপাশি বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আযহার জামাতঅনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামাতে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।