আমতলী ও কলাপাড়া মিলিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে বিমান বন্দর

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী এবং  পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিা মিলিয়ে ‘বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা যৌথভাবে পরিদর্শন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৬ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গাটি ঘুরে দেখেন ।

কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া এবং আমতলী উপজেলার তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী মৌজার ৩ হাজার একর জমি বিমান বন্দর নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে ৬ কি. মি. দীর্ঘ এবং ২ কি. মি. প্রস্থের রানওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,যে জায়গাটি প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর নির্মাণ করার চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে সরকারের প্রচুর খাস জমি রয়েছে। এর বাইরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হয়ত কিছু জমি অধিগ্রহন করতে হবে। তা ছাড়া এলাকাটিও বিমানবন্দরের রানওয়ে করার জন্য উপযোগী। অপরদিকে জায়গাটি আমতলী ও কলাপাড়া উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে পড়েছে।এতসব কারণে বিমান বন্দর করার জন্য জায়গাটি সবদিক থেকে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মনে করেছেন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় দ্রুত পৌঁছাতে আকাশপথে এখনও সে সুবিধা গড়ে ওঠেনি। যার কারণে দেশি-বিদেশী অনেক পর্যটক কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।এই এলাকায় বিমান বন্দর নির্মিত হলে সে হতাশা কেটে যাবে। এমন উদ্যোগে আমরা পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত খুশী হয়েছি।’

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ জহিরুল হক বলেন, ‘বিমান বন্দর নির্মাণের স্থান নির্ধারণের তথ্য চেয়ে ইতিমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে আমাদের মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। চিঠি পেয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে এখন আমরা সম্ভাব্য জায়গাটি সরেজমিনে দেখতে আসলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.