কারখানা নদী ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার পর হয়ে যাচ্ছে নদী গর্ভে বিলীন!

সানাউল হক (বাউফল-পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফল থানার কারখানা নদীতে অপরিকল্পিত ভাবে জিও ব্যাগ ফেলায় সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাহেরচর বাজার ও চর রঘুনদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩০০ মিটারের মধ্যে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৯৫ লাখ টাকা। মেসার্স লুৎফর রহমান নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ বাস্তবায়ন করেন।
সোমবার (১১জানুয়ারী কালের সংবাদ টিক ) সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জিও ব্যাগ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় ওই জায়গাটুকু ফের ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। কিছু কিছু জিও ব্যাগ ঢিলে হয়ে গেছে। এলোপাতাড়ি ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। নদীর ঢেউয়ে ওই ব্যাগগুলোও হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সানাউল হক নামের স্থানীয় এক সংবাদকর্মী অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী জিও ব্যাগে বালু ভরা হয়নি। প্রত্যেকটি জিও ব্যাগে ১৫০ কেজি করে বালু ভর্তি করা কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২০ কেজি। তাও আবার কাঁদাবালু।
যার ফলে পানির ঢেউয়ে কাঁদা ধুঁয়ে গিয়ে ব্যাগ ছিন্ন ভিন্ন  হয়ে গেছে। এলাকার লোকজন শুরু থেকেই বাঁধা দিলেও ঠিকাদারের লোকজন তা কর্ণপাত করেননি। এর ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ পরিবার, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চর রোকন উদ্দীন সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়  পাঁকা ভেড়ি বাঁধ কাম সড়ক হুমকির মুখে রয়েছে।
 ঠিকাদার লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোন অনিয়ম করা হয়নি। নিয়ম মেনেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার আলম বলেন, এটি পার্মানেন্ট কোন প্রকল্প নয়, অস্থায়ী প্রকল্প। কারখানা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে বাজার, স্কুল ও জনপথ রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.