মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে কালাইয়ে চাষ হচ্ছে ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ।এ আখের বাজারে চাহিদা থাকায় চাষীরা চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতি বছর কালো আখ চাষ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। অন্য ফসলের চেয়ে এটি একটি লাভজনক ফসল।
কালাই উপজেলার পুনুট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচগ্রামের সামসুল আলম( বুলু) ছেলে মহসিন আলী। ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি বলেন প্রথমে আমি ইউটিউব চ্যানেল দেখার পর থেকে ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষ করার আগ্রহ মনে প্রকাশ করেন।পরে তিনি পাশ্বপার্বতী জেলা বগুড়া মহাস্থান থেকে মুক্তার আলী নামে কৃষক এর কাছে থেকে বীজ নিয়ে ৫৫শত জমিতে ফিলিপাইনের জাতের আখ রোপণ করেছি।
আখ খেতে মিষ্টি, রসালো ও নরম। বাজারে প্রচলিত আখ থেকে ভিন্ন হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা বেশি। আখ লম্বায় বড় হওয়ায় বাঁশের মাচা দিতে হয়। প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে৫০- ৬০ টাকা দামে। কালাইয়ে আখের চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলা থেকে ক্রেতারা মাঠ থেকে আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, তিনি বলেন ৫৫শত জমিতে আখ চাষ করতে খরচ হয়েছে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মাত্র । আমার সব খরচ বাদে ৫৫শত জমিতে আখ ও বীজ বিক্রি করে আট থেকে নয় লক্ষ টাকা লাভ হবে ইনশাল্লাহ। তিনি আখের চারা তৈরি করে জেলার অন্য চাষীদের কাছে বিক্রি করেন। অনেক চাষী এ আখ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতি পিস আখের চারা ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাষীরা চারা নিয়ে যাচ্ছেন। এক বিঘা জমিতে আখ চাষের জন্য ২ হাজার ৫০০ চারা রোপণ করতে হয়। এখান থেকে প্রায় ৯-১০ হাজার পিস আখ পাওয়া যায়। একটি আখ গাছ থেকে ৯-১১টি আখ পাওয়া যায়। আখ চাষ উঁচু জমিতে করতে হয়। প্রথমেই জমি ভালোভাবে চাষ দিতে হয়। তারপর লম্বা লম্বা সারি করে চারা রোপণ করতে হয়। নিয়মিত আখ ক্ষেত পরিচর্যা করতে হয়। এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। আখ রোপণের ১০ মাস পর থেকে বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয়। গাছ লাগানোর পর একটি আখ লম্বা হয় ১৫-২০ ফুট হয়। আখ যেন ভেঙে না পরে , সেজন্য বাঁশ, সুতা ও তার দিয়ে মাচা তৈরি করতে হয়। প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আখ রসালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা ব্যাপক। আখ লম্বায় অনেক বড় ও মোটা হয়।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকরা নতুন ফসল চাষে আগ্রহী। ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষ হচ্ছে। আখ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে । উঁচু জমিতে এ জাতের আখ চাষ করলে ফলন ভালো হয়। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।