কালাইয়ে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন

মো: মোকাররম হোসাইন, কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: কালাই উপজেলাতে ১লা জানুয়ারী থেকেই শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।এছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের বইছে কনকনে ঠান্ডা।সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ঘেরা চাদরে বিপর্যস্ত জনজীবন হয়ে পড়েছে।বৃষ্টির মতো পড়া কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে কম।বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষরা।জীবিকা তাগিদে শীত অপেক্ষা করেই বের হতে হচ্ছে।ছোট ছোট অনেক শিক্ষার্থীদের স্কুল ও মাদ্রাসা নামক শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারছে না।তবে কুয়াশায় মধ্যে ও থেমে নেই কর্মজীবি মানুষের চলাচল।ঠান্ডার মধ্যে ও ভোরের সকালে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে দেখা যায়।বেলা বারার সাথে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায় সড়ক গুলোতে এবং সড়কে গাড়ির চাপ পড়ে।তবে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা আজ আধাবেলা থাকে বেকারের মতোই।পৌষের শেষে ঘন কুয়াশায় শীত জেগে বসেছে গ্রামগুলোতে।বয়স্ক লোকজন ঘনকুয়াশায় ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে দরজা জানালা লাগিয়ে লেপ কিংবা কম্বল মুড়িয়ে নিজেকে রক্ষা চেষ্টা চালায়।শিশুরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে এজন্য পিতা মাতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী যত্ন চালিয়ে যাচ্ছে।অনেকেই আবার বাজারে না গিয়ে ফ্রিজে রাখা মাছ ও মাংস তরকারি দিয়ে রান্না কাজ সেরেছেন।মহিলারা রান্না ঘরে না গিয়ে ঘরের ভিতরে গ্যাসের রান্না করতে দেখা যায়।ঘনকুয়াশায় হারিয়ে গেছে যেন স্বচ্ছ পরিস্কার নীল আকাশ সড়ক ও জনপথ। উপজেলা জুড়ে রাস্তা ঘাট সড়ক ও মহাসড়কের নদী পথে চোখে মেললে দৃষ্টিসীমা ঘনকুয়াশা আটকে যায়। সূর্যের আলো ও তেজ উত্তর পশ্চিমে দিকের হিমেল হাওয়া বাতাসে কাঁপছে পুরো উপজেলা।ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে এ উপজেলা।আধাবেলা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না।দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক ও মহাসড়কের দিয়ে।তবে দেরিতে হলেও জানুয়ারী মাসের প্রথমে ভাগে এ উপজেলায় কনকনে শীতের প্রকাশ ঘটল শনিবার সকালে কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট সদর ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র দেখা যায় ।
আজ শনিবার(১৩ জানুয়ারী)কালাই উপজেলাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড  ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে সারা দেশে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে ।
এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মূখে পরলেও এখনো সূরক্ষিত রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও কৃষি বিভাগ। তবে এই অবস্থা চলতে থাকলে জনজীবন ব্যাহত হওয়া ছাড়াও আলু ও সরিষাসহ শীত কালীন সাক-সবজির ক্ষেতে ছত্রাকসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হতে পারে।এ ছাড়া সর্দ্দি, র্জর কাশি ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ফয়সল নাহিদ পবিত্র বলেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি বাইরে শিশু ও বয়স্ক মানুষের বের না হওয়াই ভালো।কারণ তীব্র শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।এ কারণে সর্বতোভাবে চলাফেরা করতে হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.