জয়পুরহাটের জোড় পূর্বক কলাগাছ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে

মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:  জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামিদুল ইসলাম নামের এক কৃষকের ১০শতক জমির শতাধিক কাঁদি যুক্ত কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ঐ কৃষকের প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিবাদমান সম্পত্তিতে আইন শৃংখোলা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে। মোকদ্দমা নং ১৫৯/পি ২৪ (পাঁচ)।
এ ব্যাপারে আদালত পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)কে জারিকৃত নির্দেশ কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের ছৈমুদ্দিনের পুত্র কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, গত ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর কড়িয়া মৌজার ৯৩৪ নং খতিয়ানের ১৪৭৮ দাগের ১০ শতক জমি তার পিতা ছৈমুদ্দিনের নিকট থেকে রেজিঃ দলিল মূলে ক্রয় করেন সেই থেকে অদ্যবধি উক্ত জমি চাষাবাদ করে আসছেন।
বর্তমানে সেই জমিতে সাগর কলা এবং প্রতিটি গাছে কলার কাঁদি  ছিলো। এ বস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে একই গ্রামের ছৈমুদ্দিনের পুত্র সোবাহান, সোবাহানের পুত্র ছালাম, বাবু, হামিদুল, জুয়েল সহ প্রায় ১৫/২০ জন দল বেঁধে উক্ত জমি নিজেদের দাবী করে দখল করতে জোড় জোবর দস্তি করে।
এ সময় হামিদুল বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে ইউপি সদস্য ঘটনা স্থলে গিয়ে আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে দখল বা কলাগাছ কর্তন করতে নিষেধ করেন। কিন্তুু ইউপি সদস্যের কথা অমান্য করে তারা প্রায় কলাগাছ গুলো কেটে জমির পাশে কলা গাছ ও পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন এবং দখলে নিয়ে তিল বীজ বোনেন।
জমি দখল ও কলাগাছ কেটে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, জমিটি আমাদের শরিকানা সম্পত্তি। উক্ত জমি হামিদুল ইসলাম অন্যায় ভাবে দখলে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য শালিশ হয় এবং মৌসুম শেষে কলা গাছ তুলে নেওয়ার পর জমিটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য রায় দেন।
কিন্তুু সময় পার হওয়ার পরও জমির দখল ছেড়ে না দেওয়াই আমরা আমাদের জমি দখল করি। কলাগাছ কেটে ফেলার বিষয়ে বলেন,জমিতে কলা ছাড়া কলাগাছ গুলো কেটে ফেলেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ইতিপূর্বে তাদের শরিকানা সমস্ত সম্পতি মাপযোগ করে সমা ধানের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তুু সার্ভেয়ারের মুজুরী দিতে কয়েক জনের অনীহায় তা আর সম্ভব হয়নি।
আজকে আমি নিষেধ করার পরও কলা গাছ গুলো কেটেছে।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরজি জানাল। যার মোকদ্দমা নং ২৫৯/পি ২৪ (পাঁচ)। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন,আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.