তমালিকা মল্লিক প্রতিবেদকঃ বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণবৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ মারাত্মকঝুঁকির সম্মুখীন। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবমোকাবেলা ও বর্তমান সরকারকে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে বিভিন্নপদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ুঅধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন যেজলবায়ু পরিবর্তন এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলএকসময় জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় উপকূলের মানুষেরজীবন জীবিকা রক্ষায় সকলের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২৮ আগস্ট ২০২৪ বিকাল ৩ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এরসহযোগিতায় লিডার্স শ্যামনগর শাখা অফিসে শ্যামনগর উপজেলাজলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম এর অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় এই দাবিতুলে ধরা হয়। লিডার্সের সিনিয়র ফিল্ড ফাসিলিটেটর শম্পা বিশ্বাস এরসঞ্চালনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম এরসভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভায় বক্তব্য প্রদান করেনফোরামের সহ—সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন মন্ডল, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আলী আশরাফ, সম্পাদক— রনজিৎ কুমার বর্মন,অধিপরামর্শ বিষয়ক সম্পাদক — মানবেন্দ্র দেবনাথ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, তপন কুমার মণ্ডল, জি এম আব্দুর রশিদ গাজী, শাহানা হামিদ, অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক সহ আরো অনেকে।
উক্ত সভায় উপকূলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, জলবায়ুপরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশেরদক্ষিণ — পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেসবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগেউপকূলবাসী আজ নাজেহাল। তারা উদাহরণস্বরূপ বলেন পাইকগাছারএই বাঁধ যদি সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হত তাহলে পানির তোড়েবাঁধ ভেঙ্গে ১৩ টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেত। উপকূলেরমানুষের জানমালের এত ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হতনা। তারা আরো বলেনযে জলবায়ু সংকট যেহেতু মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ তাই এই জলবায়ুপরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের কার্যকরী উদ্যোগগ্রহণ করা প্রয়োজন। বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনেরক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকাউপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। এজন্য বর্তমানসরকারকে উপকূল রক্ষায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন বক্তারা। এছাড়া সভায় আগামী ৬ মাসের জন্য উক্ত ফোরামের একটি কর্মপরিকল্পনা করা হয়। উক্ত পরিকল্পনা উপকূলের জনমানুষের অধিকাররক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে ফোরামের প্রত্যাশা।