জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক  চেতনার আহবানে ১৯৭১ সালের ২৬মার্চ বাংলার হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান এক হয়ে  একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়েছে এই জাতিকে

——মেয়র আশরাফুল আলম লিটন

মোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম বলেছেন, জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক  চেতনার আহবানে ১৯৭১ সালের ২৬মার্চ বাংলার হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান এক হয়ে দিয়ে গেছে  একটি লাল সবুজের পতাকা  এই জাতিকে। তাই আমরা স্বাধীন মানুষ। আজ আমরা স্বাধীন ভাবে বলতে পারি আমরা শেখ মুজিবের দেশের মানুষ। আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। পরাধিনতার শৃঙ্খল মুক্ত করে যে নেতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছে সেই স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেই পাকিস্তানী প্রেতাত্নরা আজও সমাজের রন্ধে রন্ধে রয়ে গেছে । এই আওয়ামীলীগের অক্সিজেন, আওয়ামীলীগের সকল সুবিধা ভোগ করে এই মাটি ও ভুমির সকল পাওনা ভোগ করে গ্রহন করে কিন্তু প্রতিটি জায়গায় তারা বাধা দেয় অস্বীকার করে তাদের আমাদের রুখে দিতে হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শার্শায় আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

রোববার শার্শা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে শার্শা উপজেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, জাতির জনক ছাত্র জীবন থেকে দেশের  জন্য দাবি আদায় করছেন। তিনি স্কুলের ছাদ ভেঙ্গে গেলে মন্ত্রীর পথ গতিরোধ করে ছাদ মেরামতের দাবি করেন। তিনি ছাত্রদের পড়াশুনার জন্য বই ক্রয় করে দিতেন, শীত নিবারনের জন্য নিজের গায়ের চাদর খুলে দিতেন। তিনি ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন এর নেতৃত্ব দেন। বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ এনে দেয় ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন। তিনি ওই সময় জেল খেটেছেন। জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করতে ১৪ বছর জেল খেটেছেন।

লিটন বলেন, জাতির জনক বার বার কারামুক্ত হয়ে আবার বের হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেন এই জাতির মুক্তির জন্য। আর আজ বিএনপির মিথ্যাবাদি নেতারা বলেন জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক। আসলে কি তাই। তিনি শুধু মাত্র শেখ মুজিবের লেখা স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র তার পক্ষে পাঠ করেছিলেন। এই বিএনপির জিয়াউর রহমান জাতির জনকের হত্যা কান্ড বন্ধ করতে আইন করে ইন্ডেমেন্টিটি জারি করেছিলেন। কোন দিন জাতির জনকের হত্যা কান্ডর বিচার হবে না। তারা হচ্ছে মিথ্যা বাদি। মিথ্যার দল । তাই বিএনপিকে রুখে দিতে হবে। তারা যেন আর মাথা চড়া  দিয়ে উঠতে না পারে। তাই আমি তাদের অভিশাপ দিচ্ছি। তারা যেন এসব নৃশংতার দায়ে বিলিন হয়ে যায়। এই বিএনপি জামাতের প্রেতাত্নারা মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করছে মানুষকে হত্যা করছে ।

তিনি আরো বলেন আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার অতন্ত্র প্রহরী। শেখ হাসিনা হাসলে বাংলাদেশ হাসে। শেখ হাসিনা কাঁদলে বাংলালে কাঁদে। কারন শেখ হাসিনাই হচ্ছে দেশপ্রেমিক নেতা। কারন তারই পরিবারের সদস্যরা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাষ্ট্র নায়কের পরিবার এত রক্ত দেয়নি। জাতির জনকের পরিবার নিশ্বার্থ ভাবে এদেশের মাটি মানুষ এদেশের সমাজ রাষ্ট্রকে আগলে রেখে বারংবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আজ বাঙালীর ইতিহাস সফলতার ইতিহাস আজ বাঙালীর ইতিহাস মর্যদার ইতিহাস, আজ বাঙালীর ইতিহাস উন্নয়নের ইতিহাস আজ বাঙালীর ইতিহাস এক অনন্য উচ্চতার ইতিহাস।  আজ সারা পৃথিবী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ফলো করে। শেখ হাসিনার সংগ্রাম সারা পৃথিবীথে অনুকরনীয়। শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এদেশের মানুষকে যতটুকু ভালবেসে গেছে তা পৃথিবীতে কোন রাষ্ট্রনায়ক বাসেনি। শেখ  হাসিনা আজ বিধবা ভাতা চালূ করেছেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা বাবাদের সন্মান দিয়ে গেছেন। আজ পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্ব কালীন ভাতা দিয়ে বাংলাদেশকে এক উচ্চতার রোল মোডেলে পরিনত করেছে। জাতির জনক স্বপ্ন দেখতেন বাংলার সকল মানুষ গৃহ পাবে। আজ বাংলাদেশের ৪০ হাজার পরিবার গৃহ পাচ্ছে।

মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস-স্বাধীনতার ইতিহাস। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলীয়ান হওয়ার দিন আজ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছে।

এসময় উপস্থিত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক বকুল, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান,কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, বেনাপোল পৌর আওয়ামী নেতা মোজাফফার হোসেন, বেনাপোল ইউপি যুবলীগ নেতা সাহেব আলী আওয়ামী নেতা মিজানুর রহমান, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ ৯ ওয়ার্ড এর সাধারন সম্পাদক আাশাদুজ্জামান আশা, উলাশী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.