ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ):. গ্রামীণ জনপদের নতুন ধানের খির- পায়েস ও মাংস খাওয়ার মাধ্যমে জামাই-মেয়েসহ আত্নীয়তার সম্পর্ক জোরদার করতেই প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই সাথে মিলন মেলা বসে। মেলায় দেশীয় তৈরিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের কেনাকাটার সামগ্রী বিক্রি হয়ে থাকে। নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় পদ্মপুকুর স্কুল মাঠে শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কালী পূজা উপলক্ষ্যে শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী এমনই এক দৃশ্যের দেখা মিলেছে। দিনব্যাপী কয়েক হাজারো দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে স্থানটি পরিণত হয় সম্প্রীতির মহা মিলন মেলায়।
মেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি দেখা যায় অন্য ধর্মের নানা বয়সী মানুষ। জাত-ধর্মের বিভেদ ভুলে উৎসবে মেতে উঠেছেন সবাই। জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত এলাকায় ভিড় জমান হাজারো দর্শনার্থী। মেলার বিশেষ আকর্ষণ দোলনায় চড়ে দোলা খাওয়া। দোলনায় কিশোর-কিশোরীরা বিশেষ করে চড়ে।
কালী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিরেন কুমার বলেন, ‘দাপ-দাদার কাল হতে এই পদ্মপুকুর শ্রী শ্রী ক্ষিতিশ চন্দ্র কালীমাতা মন্দিরে আমাদের ধর্মের কালী পূজা উদযাপন হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পূজা উপলক্ষে গ্রামীণ মেলা বসে।’
মেলার আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শ্রী মনোজ কুমার বলেন, ‘এই পদ্মপুকুর মেলা ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল বয়সী নারী-পুরুষের মিলন মেলা। আড়াই’শ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই মেলা প্রতি বছরের ন্যায় আজকের দিনটিতে মিলন মেলা বসে।’
নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মিন্টু বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের পদ্মপুকুর মেলাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার দর্শনার্থীর মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিশেষ করে আত্মীয়তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সম্পর্ক জোরদার করতেই এই মিলন মেলা। মেলায় সকল প্রকার আসবাবপত্র সহ কেনাকাটার সামগ্রী বিক্রি হয়ে থাকে। তাই অর্ধলক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন।