শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, শীতে কাপছে মানুষ সহ পশু-পাখি, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেনা মানুষ। সন্ধার পরই লোকজন শুণ্য জেলার হাট-বাজারগুলো। এক কথায় উত্তরের জেলা নওগাঁতে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা সেই সাথেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারিদিক। বিশেষ করে হিমেল বাতাসে দিনের থেকে রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আর ঘন কুয়াশার কারনে নওগাঁর সড়ক গুলোতে চলাচলকারী যানবাহন গুলো সকালে ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার ১১ ডিসেম্বর নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেল-সিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক।
আগের দিন রবিবার এর তুলনায় সোমবার তাপমাত্রা দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রবিবার বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা যে হাওয়া বইছে তার চেয়ে হিমেল হাওয়া বা বাতাস সন্ধার পর থেকে বেশি হওয়া এবং ঘণ কুয়াশা পড়ার কারনে রাতে শীতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য সন্ধার পর পরই লোকজন শুণ্য হয়ে পড়ছে নওগাঁর বিভিন্ন হাট-বাজারগুলো। এছাড়া সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে জনপদ। এতে দিনের বেলায় (সকালে) ও বিভিন্ন সড়কে চলাচল রত যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কমলেও দুপুরের পর থেকেই ফের আবারও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কুয়াশা পড়তে শুরু করছে। যার কারনে শীতে কাপছে মানুষ সহ পশু ও পাখি। এতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। মধ্যবিত্ত সহ নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে।
এব্যাপারে নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অধিদপ্তর এর উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, ঘন কুয়াশা’র সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া (বাতাস) প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ (সোমবার) নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরো নিচে নামার সম্ভাবনাও রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।