পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ দারা হামলা ও ৪ জন শ্রমিক অপহরন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবানঃ থানচি উপজেলার লিক্রিতে নির্মিত সড়কে ২১ কিলোমিটার এলাকায় শনিবান(১১ মার্চ) বিকালে শ্রমিকদের বহনকারী দুটি ট্রাকে লক্ষ্য করে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সদস্যরা অতর্কিত ঘটনায় ৪জন শ্রমিক নিখোঁজ শ্রমিকদের তাদের কেএনএফ এর ডেরায় বন্দি রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।

নিখোঁজ শ্রমিকের মধ্যে সূর্য দাশ (৩০) এবং চালক রুবেল (৩০), অপর দুইজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) হেডকোয়ার্টার লে. পাবিক রোববার বিকালে এক ভিডিও বার্তায় জানায়, শ্রমিকরা নিখোঁজ নয়, কুকি চিন এর দাবিকৃত এলাকায় সড়ক নির্মানের প্রতিবাদে এই ৪ শ্রমিককে তাদের কাছে বন্দি রাখা হয়েছে।

কেএনএফ কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় ১ শ্রমিক দাবি করেন, তাদের আটকের পর কেএনএফ সদস্যরা খাবার দিয়েছে, কোন ধরণের নির্যাতন করেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থানচির লিক্রিতে নতুন নির্মাণাধীন সড়কের জন্য ২টি ট্রাকে করে ইট বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল শ্রমিকরা। পরে সড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় ইট পৌঁছে দেওয়া শেষে ফেরার পথে থামলক পাড়া এলাকায় ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কেএনএফ সদস্যরা। ট্রাকে হামলার সময় ১০ থেকে ১৫ জন কেএনএফ সদস্য অংশ নেয়। তবে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) হেডকোয়ার্টার লে. পাবিক এক বার্তায় এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা: মেহেনাজ ফাতেমা জানান, শনিবার আহত গাড়ি চালক মো: জালালের বুকের ৬ টি স্থানে গুলি লেগেছে, তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক আরো জানান, ঘটনার নিখোঁজ ৪ শ্রমিককে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের তিন উপজেলায় চলাচল করা পরিবহণের মালিক সমিতিকে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে গাড়ি না পাঠানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ঐ নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম গাড়ি চালকদের উপর গুলিবর্ষণ ও অপহরণের মতো ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.