প্রচন্ড তাপদাহে মাগুরায় বেড়েছে তাল শাঁসের কদর

মাগুরা প্রতিনিধি, খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন  : চলমান প্রচণ্ড তাপদাহে মাগুরা শহর ও  হাট-বাজারে বেশ কদর বেড়েছে পানিতালার (তালের শাঁসের)। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তালের শাঁসে। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁসে অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। চাহিদা থাকায় গাছের মালিকরা চুক্তিতে প্রতিটি গাছের তাল বেশ ভালো টাকায় বিক্রি করে পাইকারদের কাছে। সাধারণত বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে পানিতালা মৌসুমি ফল হিসেবে সব বয়সি মানুষের একটি মুখরোচক খাবার হওয়ায় এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
 শহরে বিভিন্ন স্থানে  বাজারে ও রাস্তার মোড়ে ভ্যান গাড়িতে করে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।
সেই সঙ্গে দেখা গেছে ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড়। তালের শাঁস বিক্রেতা কালাম বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে, তখন বাজারে এটা পানি তাল বা তালের শাঁস হিসেবে বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের শাঁস আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয় বিক্রেতা জানান, আরও বলেন প্রতিটি তালের ভেতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে।প্রয়োজনীয় পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু তালগাছ অকালে মরে যাচ্ছে।
মাগুরা শহর ও বিভিন্ন থানার বাজারে  তালের শাঁস বিক্রেতা নাজমুল বলেন, ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজারে এই ব্যবসা করি আমি। দৈনিক যে টাকা উপার্জন হয় তাতে আমি অনেক খুশি ও ব্যবসা ভালো হয় । জগদল বাজারে আল আমিন ভূঁইয়া বলেন, বাজারের অন্য সব ফলে ফরমালিন বা ক্যামিকেল থাকলেও তালের শাঁসে কোনো ফরমালিন বা ক্যামিকেল মেশানো থাকে না। এতে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। তাই এই গরমে আমি তালের শাঁস খেয়ে থাকি।
 একজন পথচারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন  বছর প্রচণ্ড তাপদাহে তালের শাঁসের কদর গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। তালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জ থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করছেন।
ডাক্তারের পরামর্শে  এ   শাঁস খেলে ক্লোন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম থাকে। তিনি আরো বলেন, পরিস্কার পরিছন্নভাবে না খেলে আবার ডায়েরিয়ারও ঝুঁকি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.