বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল না পাওয়ায় ৭৭৫৫ পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন

আবু সাইদ বদলগাছী ঃ নওগাঁর বদলগাছীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১৫ টাকা কেজি চাল চলতি মাসের প্রায় ২১ দিন অতিবাহিত হলে ও চাল উত্তোলন ও বিতরণ না হওয়ায় উপজেলার প্রায় ৭৭৫৫ জন হতদরিদ্র পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ নিয়ে দির্ঘ্য সময় অতিবাহিত হলে ও স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় এখন খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধ্যান্তের অপক্ষোয় রয়েছে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক। অপর দিকে চালের বাজার চড়া হওয়ায় উপকারভোগীরা চাল ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছে। তাছাড়া বছরের এই সময়ে উপজেলার মানুষের হাতে তেমন কাজকর্ম থাকেনা। ফলে বাড়িতে বসে বসে হাঁস, মুরগী ও গরু ছাগল বিক্রি করে চড়া মুল্যে বাজার থেকে চাল ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পরে বাঁচতে পারলে ও উপকারভোগী পরিবার গুলোর মজুদ টাকা-পয়সা ও সম্পদ দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি দ্রæত সমাধান না হলে উপজেলার উপকারভোগী দরিদ্র পরিবার গুলো ভবিষৎতে চরম বিপাকে পরবে। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে দুটি করে মোট ১৬ জন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ রয়েছে। গত ৩১ আগষ্ট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারী স্বাক্ষরিত একটি পত্র যাহার স্মারক নম্বর-১৩.০১.৬৪০৬.০৩৬.৫৭.০০১.২৩.২৩.৩০৯ এর মাধ্যমে প্রতিটি ডিলারকে চিঠি ইসু করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি সেপ্টম্বর-২৪ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা করে চাল যথারিতি উত্তোলন করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক উপজেলার ১৬ জন ডিলারের মধ্যে ১৫ জন ডিলার গত ১০ সেপ্টম্বর ব্যাংকে টাকা জমা করে এখন পর্য়ন্ত চাল উত্তোলন করতে পরেন নাই। এই নিয়ে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটি দফায় দফায় মিটিং করে কোন সিধ্যান্তে আসতে পারে নাই। ফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি চাল উত্তোলন ও বিতরণ নিয়ে চরম অশংকা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার তেজাপাড়া গ্রামের উপকারভোগী নন্দলাল এর সাথে কথা হলে সে জানন, প্রতিমাসের ১০/১২ তারিখের মধ্যে আমরা ১৫ টাকা কেজির চাল পেয়ে যেতাম। এখন মাসের ২১ দিন চলে গেলে ও চাল পাচ্ছিনা। বাজার থেকে ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। যা আমার পরিবারের জন্য কষ্টকর হয়ে পরেছে। এ ছাড়া ও ডাঙ্গিসাড়া গ্রামের রশিদা, গাজীমদ্দীন,বয়তুল সহ অনেক উপকারভোগীর সাথে কথা হলে তারা ও একই কষ্টের কথা জানিয়েছেন।

উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার এরশাদ হোসেন, রানা, মেহেদি হাসান ও জামিল সহ সকলেই জানায়, আমরা উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রকের চিঠি অনুয়ায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা করেছি। কিন্তু চাল উত্তোলন করতে পারছি না।

এ বিষয়ে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর মোবাইলে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সাবরিন মোস্তারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব চাল উত্তোলন ও বিতরণ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধ্যান্ত ও নির্দেশনা আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#

Leave a Reply

Your email address will not be published.