বদলগাছীতে পার কেটে নদী প্রসারিত করার অভিযোগ বালু মহাল ইজারাদারের বিরুদ্ধে হুমকীর মুখে ফসলি জমি ও নদীর বাঁধ

এমদাদুল হক দুলু বদলগাছী(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুন নদীর বালু মহাল ইজারার নামে নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নদীর তলা নয় নদীর পারসহ ফসলি জমির মাটি বালু কেটে নিয়ে নদী প্রসারিত করার অভিযোগ উঠেছে বালু মহাল ইজারাদারের বিরুদ্ধে। নদীর পার কাটা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও নদীর পার কাটা বন্ধে প্রশাসনের কোন উদ্দোগ নেই বলে ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। সরজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায় উপজেলার কাষ্টডোব ঘাটের প্রশ্চিম পাশের্^ তেজাপাড়া মৌজায় এসকেভেটর মেশিন দিয়ে গভীর করে নদীর পার কেটে মাটি বালু কাটা হচ্ছে। এই জায়গায় স্থানীয়এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মিষ্টি আলু, গম, শরিষা, কালাই চাষাবাদ করতো।তার উপরেই রয়েছে বড় আকৃতির একটি কলা বাগান যা হুমকীর মুখে পড়েছে। মাটিকাটার স্থলে উপস্থিত সুমন জানায় সে ইজারাদারের ম্যানেজার। জানতে চাইলে সুমন বলেন নদী এখন মালিকানা জমির উপর। আর নদীর পার এবং ফসলি জমি ছিল এক সময় আসল নদী।

এই জায়গা লীজের তালিকায় রয়েছে তাই কাটা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত স্থানীয় এক জনের নাম জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সাংবাদিক শোনে একটা লিখে আরেকটা। আপনাদের সাথে কথা বলা দায়। কিছুদুর পিছনে এসে তিনি বলেন তার নাম নিতাই চন্দ্র। তিনি স্থানীয় এক জন ডাক্তার। নদীর বাঁধের নীচেই তার বাড়ী। যেখানে মাটি কাটছে এটা নদীর পার। পাশেই নদীর বাঁধ। এখানে মাটি কাটার জায়গা না। এখানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে হুমকীর মুখে পড়বে নদীর বাঁধ। ফসলি জমির হিসাব নাইবা করলাম। বেরীবাঁধ কেটে নিচু করে রাস্তা বের করেছে। গ্রামের মেঠো পথ বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। আমরা ভ্যান রিক্সা নিয়ে চলাচল করতে পারছি না। প্রতিবাদ করবেন চাঁদাবাজির মামলা দিচ্ছে। আমরা ক্ষতির মুখে পড়লে তো প্রশাসনের কিছু যায় আসে ন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান জানায় কয়েক দিন আগে নদীর পার কাটাসহ মাটিবাহী ট্রাক বেপরোয়া চলাচলে গ্রামের রাস্তাঘাট নষ্ট করা দায়ে অবৈধভাবে নদীর বালু মাটি কাটা বন্ধ করতে স্থানীয় স্কুল মাঠে গ্রামবাসী ১৫/২০টি ট্রাক আটক করে। ঘটনাস্থলে থান পুলিশ ও ছিল। আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। পরে আমাকে ১নম্বর আসামী করে বদলগাছী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এখন ইজাদারের পথ পরিস্কার। ভয়ে আর কেউ বাঁধা দিবে না। নদীতে বালু নেই অবাধে নদীর পারসহ ফসলি জমি কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে প্রশাসন নিরব। প্রশাসন বা বালু মহাল ইজারাদারের মতে খাস জমি দেশের বা জনগনের কোন সম্পদ নয়।

জানতে চাইলে বালু মহাল ইজারাদার তপন কুমার মন্ডল বলেন তেজাপাড়া মৌজা নয় ওটা কাস্টডোব মৌজা। খাস খতিয়ানে সেখানে লীজের তপসিল ভুক্ত ৪৫ বিঘা সম্পত্তি বালু মহালের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এখনো ৩/৪ বিঘা জমি কাটা হয়নি। বাঁকি জমি বের করে নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ড বরাবর আবেদন দেওয়া হয়েছে।নদীর বালু মহাল লীজ দিয়েছেন নাকি নদীর পারসহ নদী পারের খাস জমি, জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) মোছাঃ আতিয়া খাতুন বলেন বিষয়টি তদন্ত করে না দেখে কোন মতামত দিতে পারব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.