বাউফল এ ভেঙে পড়া ব্রিজ আজও নির্মাণ হয়নি!

সানাউল হক (বাউফলপটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফল থানার নওমালাতে  এক যুগ আগে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজটি। মানুষ ভেবেছিল, হয়তো পুনর্নির্মাণ হবে। সেসময় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পার হচ্ছিলেন পথ। কিন্তু বছর গেল। সেই ব্রিজ আর পুনর্নির্মাণ হয়নি। এখন বাঁশের সাঁকোই মানুষের ভরসা। এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বাউফল উপজেলার নওমাল ইউপির নওমালা-বেতাগী এলাকার ব্রিজ ছিল এটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। আর এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন নগরেরহাট, বাঁধের হাট, বেতাগী বাজার, ঠাকুরের বাজার, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতাগী সিকদারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বজলুর রহমান ফাউন্ডেসন গার্লস সেমিনারি, বেতাগী শরীয়াতিয়া দাখিল মাদ্রাসা, মধ্য নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা,পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ,পশ্চিম নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।

পশ্চিম নওমালা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাজিয়া ও জান্নাত বলেন, প্রতিদিন আমরা এই সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করি। কিছুদিন আগে এক শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারের সময় খালে পড়ে যায়।

মধ্য নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা সুলতানা জাহান বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বাজারে যাতায়াতের সুবিধার জন্য গ্রামবাসী সাঁকো নির্মাণ করেছেন। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো পারাপার হচ্ছে।

মোশারেফ প্যাদা নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। আমরা একটি সেতু চাই। সেতুটি নির্মাণ হলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের উপকারে আসবে।

মোকলেছ আকন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ হলে দশমিনা, গলাচিপা ও বাউফল উপজেলার সাথে যাতায়েতে অনেক সুবিধা হতো।

নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ আসা যাওয়া করে। তিনি দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, আমি যতটুকু শুনছি ব্রিজটি দশমিনা উপজেলার অধীনে। তারপরেও আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.