বান্দরবানের অপহরনের চার দিন পর অপহৃত ৫জনকে ছেড়ে দিয়েছে কেএনএফ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবানঃ বান্দরবান জেলার থানছি-লিক্রী সড়ক থেকে অপহৃত ঠিকাদারসহ পাঁচজনকে চার দিন পর ছেড়ে দিয়েছে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ)।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে থানছি-লিক্রী সড়কের চৌদ্দ কিলোমিটার নামক এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন ঠিকাদার জিয়াউল হক জিয়া ও তার বন্ধু জিগর, ঠিকাদার মনির হোসেন ও তার মেস্ত্রী আব্দুল মান্নান এবং পাথর ব্যবসায়ী কাজী নুরুল আনোয়ার।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সূত্র জানায়, শনিবার(১১ মার্চ) বিকালে চারটার দিকে থানছি-লিক্রী সড়কে সীমান্ত সড়কে ২২ কিলোমিটার এলাকায় নির্মানের কাজ শেষে দুটি ট্রাক যোগে ঠিকাদার ও লেবার থানছি সদরে ফেরার পথে কেএনএফ সদস্যরা গাড়ি লক্ষ্য করে অর্তকিত গুলি ছুুড়ে। এঘটনায় গুলিবৃদ্ধ হয় দুই গাড়ি চালকসহ চার জন। এসময় কেএনএফ সদস্যরা ১৭জনকে অস্ত্রের মুখে সালৌপি পাড়ার পার্শ্ববতী গহীন অরণ্যে তাদের ক্যাম্পে করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন (১২ মার্চ) সকালে ১২জনকে ছেড়ে দিলেও
ঠিকাদার জিয়াউল হক জিয়া ও তার বন্ধু জিগর, ঠিকাদার মনির হোসেন ও তার মেস্ত্রী আব্দুল মান্নান এবং পাথর ব্যবসায়ী কাজী নুরুল আনোয়ারকে কেএনএফ ক্যাম্পে রেখে যায় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপহৃতের স্বজনরা জানিয়েছে, কেএনএফ সদস্যরা তাদের অপহরন করে নিয়ে চোখ বেঁধে গহীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পাহাড়ী ও ঝিরি পথে প্রায় তিন ঘন্টা পায়ে হেটে একটি ঝিরিতে আত্মগোপন করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে অপহৃতদের নিয়ে অপহরনকারীরা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে। অপহরণকারীরা তাদের খাবারও দিয়েছে আবার মাঝে মাঝে নির্যাতনও করেছে।
অবশেষে মঙ্গলবার রাতে কোন মুক্তিপণ ছাড়াই থানছি-লিক্রী সড়কের চৌদ্দ কিলোমিটার নামক এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তাদের আত্নীয় স্বজনরা সেখান থেকে গাড়ী যোগে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক অপহৃত পাঁচজন ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে থানছির উদ্ভুদ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে অর্নিষ্টকালের জন্য থানছি-লিক্রী সীমান্ত সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেনা বাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। একই সাথে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা যেকোনো পর্যটকের আগমন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারী অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.