বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল চেকপোষ্টে ভ্যাকসিন সনদ জালিয়াতি, যাত্রী হয়রানি ও প্রতারনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আসাদুল এন্টার প্রাইজ নামে
একটি অফিসে তালা দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় প্রতারনার খবরে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে চেকপোষ্টে চৌধুরী মার্কেটে অবস্থিত অফিসটিতে তালা মারে। এসময় কৌশলে গা ঢাকা দেয় অফিসটি ভাড়া নিয়ে ব্যবহারককরী অভিযুক্ত শাহিন ও তার সহযোগী হাসান।
শাহিন যশোরের মনিরামপুররে ন,আলী গ্রামের হাসান গাজীর ছেলে। বর্তমানে বেনাপোলে বড়আচড়া গ্রামের বাসিন্দা। হাসানের বাড়ি বেনাপোলেল কাগজপুকুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গভীর রাতে পরিবহন যোগে বেনাপোল বাসটার্মিনালের সামনে এসে নামে পাসপোর্টধারীরা। এসময় প্রতারকরা দ্রুত পাসপোর্টের কাজ করে দিবে বলে যাত্রীদের আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটের গলিতে বসায়। পরে জাল ভ্রমন ট্রাক্স,করোনা সনদ তৈরী করে যাত্রীদের সাথে প্রতারনা করে পালিয়ে যায়। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও বিপদের মুখে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশের কাছে এধরনের যাত্রী প্রতারনার অভিযোগ আসলে পুলিশ অভিযান চালায় চৌধুরী মার্কেটের গলিতে। এসময় প্রতারক শাহিন কৌশলে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ কাউকে না পেয়ে অফিসটিতে তালা মেরে দেয়। এর আগে ও নানান অবৈধ কার্যকালাপের অভিযোগে পুলিশ শাহিনের এ অফিসটিতে একাধিকবার তালা মেরেছিল।
স্থানীয়রা জানান, শাহিনের বৈধ কোন আয়ের উৎস না থাকলেও কেবল পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে প্রতারনা ও ভ্যাকসিন সনদ জালিয়াতি করে কোটি টাকার সম্পদ গড়েছে বেনাপোলে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) জানান, বৈধ কোন ব্যবসা না থাকলেও অফিসে কমপিউটার বসিয়ে জাল কাগজ পত্র তৈরী করে এরা পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। এসব প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও মানছিল না। অবশেষে উধ্বর্তন কর্মকর্তার নির্দেশে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে শাহিনের অফিসে তালা মারা হয়। প্রতারকদের ধরতে তাদের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান পুলিশ। গত এক মাসে একাধিক প্রতারককে আটক ও তাদের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে পুলিশ।